গর্ভাবস্থায় খাবারের তালিকা ও পরামর্শ জেনে নিন

গর্ভাবস্থায় পুষ্টিকর খাবারের তালিকা সম্পর্কে জানতে চান? ও গর্ভাবস্থায় আপনার কোন খাবারগুলো খাওয়া নিষেধ তা জানতে চান? তাহলে আপনার জন্য আমাদের এই আর্টিকেলটি লেখা কারণ আমাদের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনাকে আমরা গর্ভাবস্থায় ভালো থাকার সকল তথ্য জানাবো।
গর্ভাবস্থায়-পুষ্টিকর-খাবারের-তালিকা
গর্ভাবস্থায় পুষ্টিকর খাবার খাওয়া শিশু ও মায়ের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ বাচ্চার শরীর এবং সঠিকভাবে বেড়ে ওঠার জন্য পুষ্টিকর খাবার খাওয়া খুবই জরুরী। তাই গর্ভাবস্থায় মা ও শিশুর দুজনের সুস্থ থাকার জন্য যে সকল খাবার খাওয়া ও পরামর্শ প্রয়োজন তা জানার জন্য আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

পোস্ট সূচীপত্রঃ গর্ভাবস্থায় পুষ্টিকর খাবারের তালিকা

গর্ভাবস্থায় পুষ্টিকর খাবারের তালিকা যেমন হওয়া দরকার

গর্ভাবস্থায় পুষ্টিকর খাবারের তালিকা সম্পর্কে জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কারণ গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন যদি মা পর্যাপ্ত পরিমাণ পুষ্টিকর খাবার না খায় তাহলে বাচ্চার শরীরের ক্ষতি হতে পারে এবং ডেলিভারির সময় অনেক প্রকার সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে। গর্ভাবস্থার সময় তিন বেলায় যেসব খাদ্যে পুষ্টিকর উপাদান বেশি সেসব খাদ্য বেশি বেশি খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। তবে অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে খাবারে অরুচি বা বমি বমি ভাব অথবা বুক জ্বালাপোড়া করতে পারে। 

সেই ক্ষেত্রে একবারে বেশি পরিমাণ খাবার না খেয়ে বার বার অল্প অল্প করে খাবার খেতে হবে। বাচ্চার সুস্বাস্থ্য রক্ষার ক্ষেত্রে পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি সুষম খাবারও খেতে হবে। নিয়মিত খেয়াল রাখতে হবে যেন পুষ্টিকর খাদ্যগুলো তিন বেলা খাবারের তালিকায় থাকে। তবে বারবার খেলেও বেশি পরিমাণ খাবার অর্থাৎ অনেক বেশি খাবার খাওয়া কিন্তু যাবে না। এতে অনেক সমস্যা সম্মুখীন হতে পারে। তাই অল্প অল্প করে সারাদিন পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে। 

এবং সারাদিনে প্রত্যেকবারের খাবার বিভিন্ন ধরনের হলে ভালো হয় এতে খাবার খাওয়ার সময় খাবারের প্রতি অরুচি হবে না বা একঘেয়েমি লাগবে না। আবার তিন বেলা শুধু পুষ্টিকর খাবার খেলে শরীরে পুষ্টির চাহিদা পূরণ নাও হতে পারে সেই ক্ষেত্রে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে আপনি চাইলে ভিটামিন সেবন করতে পারেন। তবে গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন খুবই সাবধানতার সাথে সবগুলো খাবার দেখে শুনে এবং সবগুলো খাবারে যেন পুষ্টিকর খাবারের মান বেশি থাকে সেই দিকে খেয়াল রেখে খাবার খাওয়া খুবই প্রয়োজনীয়। 
তবে আপনাকে খেয়াল রাখতে হবে যে আপনার সাথে সাথে পেটের ভেতরে আরেকটি মানুষ অর্থাৎ বাচ্চা আছে সেক্ষেত্রে আপনারও যেমন খাবার খাওয়া প্রয়োজন তারও খাবারের প্রয়োজন। গর্ভধারণের সময় প্রত্যেকটি মাইয়েরই আনন্দ হয়ে থাকে কারণ সন্তান জন্ম দেওয়া মায়ের একটি খুবই খুশির ও আনন্দময় সময়। এই সময়টিতে অনেক মা হয়তো জানে না যে কোন খাদ্যগুলো খাওয়া এবং কিভাবে খাওয়া খুবই জরুরী বিষয়।

তবে আর সংশয় নেই আমাদের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আমরা পুরোপুরি একজন গর্ভাবস্থায় মা কিভাবে এবং কতটুকু খাবার খেলে তার শরীরের পক্ষে এবং তার বাচ্চা শরীরের পক্ষে সুস্বাস্থ্য কামনা করা যায় তা নিয়ে পুরোপুরি বিস্তারিত আলোচনা করেছি। এবং এই আর্টিকেলটি পুরোপুরি পড়ার মাধ্যমে আপনারা জানতে পারবেন আপনাদের কোন সময় কিভাবে খাবার খাওয়া প্রয়োজন। এবং নিচে আরো বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে কোন সময়ে কতটুকু এবং কোন খাবার খাওয়া প্রয়োজন তার তালিকা নিয়ে।

গর্ভাবস্থায় ১ থেকে ৩ মাসের পুষ্টিকর খাবারের তালিকা

সময় খাবারের ধরন উদাহরণ
ভোর (৬টা-৭টা) হাইড্রেশন(তরল খাবার) পানি,ডাবের পানি,লেবুর রস বা শরবত,খেজুর,বাদাম
সকাল (৮তা-৯টা) শর্করা ও দুধ জাতীয় খাবার ও একটি ডিম দুধ বা দই,ডিম,শাকসবজি,রুটি
দুপুর(১টা-২টা) প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার দুধ বা দই,ডিম,শাকসবজি,রুটি
বিকেল(৪টা-৫টা) ফল বাদাম ও চিড়া জাতীয় খাবার আপেল,কমলা বা কলা,বাদাম বা চিরা,লাচ্ছি বা দই
রাত(৮টা-৯টা) শর্করা ও ফলিক এসিড জাতীয় খাবার ভাত বা রুটি,মাছ বা মাংস ও ডাল এবং শাকসবজি
ঘুমের আগে এক গ্লাস দুধ বা দই দুধ বা দই

গর্ভাবস্থায় ৪ থেকে ৯ মাসের পুষ্টিকর খাবারের তালিকা

গর্ভাবস্থায় অবস্থায় আপনি প্রথম মাস থেকে শুরু করে যেমন তিন মাস পর্যন্ত যেসব খাবার খাবেন উপরে আমরা তালিকার মাধ্যমে তুলে ধরেছি সেই সকল খাবার আপনি পুরো নয় মাস পর্যন্ত খাবারের তালিকায় রাখবেন। কারণ এই খাবারগুলি আপনার গর্ভাবস্থায় থাকার পুরো নয় মাসি খাওয়া খুবই প্রয়োজন। তবে এর মধ্যে কয়েকটি মাসে আপনার বিশেষ করে কিছু কিছু খাদ্য পরিবর্তন করা খুবই প্রয়োজন তা আমরা এখন নিচে আলোচনা করব।

চতুর্থ মাসে গর্ভবতী মায়ের খাবারের তালিকাঃ
চতুর্থ মাসে একজন গর্ভবতী মায়ের জন্য আয়রন জাতীয় ও ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ যেমনঃ কলা,আম,দুধ,মাছ,সবুজ শাক ও প্রোটিন সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া খুবই প্রয়োজনীয়।

৮ ও ৯ মাসে গর্ভবতী মা এর খাবারের তালিকাঃ
অষ্টম ও নবম মাসে বিশেষ করে গর্ভবতী মায়ের খুবই হালকা খাবার ও সহজপ্রাচ্য খাবার খাওয়া খুবই প্রয়োজনীয় হয়ে দাঁড়ায় এই সময় যত হালকা খাবার ও সহজপাত্র খাবার খাবেন তত আপনার শরীরের জন্য ও আপনার বাচ্চার শরীরের জন্য ভালো। যেমনঃ ভাত, ডাল,সবজি,খেজুর,কলা,কিসমিস ও প্রচুর পানি পান করা আপনার শরীরের জন্য খুবই প্রয়োজনীয়। বিশেষ করে এই সময় আপনার পানি জাতীয় খাবার অর্থাৎ পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

গর্ভাবস্থায় দিনে কতটুকু পানি খাওয়া প্রয়োজন

গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা খুবই প্রয়োজন। কারণ পানে শরীরের হাইড্রেট ক্ষমতা ধরে রাখে এবং বাচ্চার সঠিকভাবে বিকাশ পেতে খুবই কার্যকারী। আর একজন গর্ভাবস্থায় নারী যদি সঠিক পরিমাণ পানি পান না করে তাহলে তার শরীরের এবং বাচ্চা শরীরের প্রচুর পরিমাণ ক্ষতি হতে পারে তাই সঠিক পরিমাণ পানি পান করা মা ও বাচ্চার শরীরের জন্য খুবই জরুরী। প্রতিদিন একজন গর্ব অবস্থায় নারীর .২.৫ থেকে শুরু করে ৩ লিটার পানি পান করা খুবই জরুরী। 
এক কথায় বলা যায় ৮-১০ গ্লাস পানি পান করা একজন গর্ভাবস্থায় নারীর জন্য বাধ্যতামূলক বলা যায় তবে যদি শরীরের অবস্থা ভালো ও খারাপ এই দুই ক্ষেত্রে কম বেশি পানি পান করা যেতে পারে। সঠিক পরিমাণ পানি পান করার জন্য গর্ব অবস্থায় নারীর শরীরের কোষ্ঠকাঠিন্য ও ইউরেনারি ইনফেকশন কমায়। তাই আপনি যদি গর্ভাবস্থায় থাকেন তাহলে প্রতিদিন সঠিক পরিমাণ পানি পান করুন এতে আপনার ও আপনার বাচ্চার শরীরের জন্য খুবই ভালো।

গর্ভাবস্থায় যেসব খাবার খাওয়া নিষিদ্ধ তার তালিকা

গর্ভাবস্থায় থাকা কালিন কিছু কিছু খাদ্য আপনার শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর হতে পারে এবং এই খাদ্যগুলো আপনার সাথে আপনার বাচ্চার ও শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর হতে পারে তাই আপনার জেনে রাখা উচিত কোন কোন খাবার গুলো আপনার শরীরের জন্য ও আপনার বাচ্চা শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর। সেই খাবারগুলো থেকে আপনাকে বিরত থাকতে হবে এবং সেই খাবারগুলো সম্পর্কে আপনাকে পুরোপুরি জেনে রাখতে হবে তাতে আপনার বাচ্চা শরীরের জন্য ভালো হবে। তাই নিচে যে খাবারগুলো আপনার শরীরের জন্য ক্ষতিকর হতে পারে তার তালিকা ও বর্ণনা দেওয়া হলোঃ

১. গর্ভাবস্থায় চা কফি জাতীয় খাবার খাওয়া যাবে না অধিক পরিমাণে।
২. অ্যালকোহল জাতীয় খাবার খাওয়া একেবারে নিষেধ
৩. কাঁচা বা আধা সিদ্ধ মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে কারণ এতে প্রচুর পরিমাণে ব্যাকটেরিয়া থাকতে পারে।
৪. কাঁচা ডিম কিংবা কাঁচা মাছ অথবা সি ফুড খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে কারণ এতে প্রচুর পরিমাণ ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস থাকে।
৫. কাঁচা পেঁপে বা কাঁচা আনারস কিংবা কাঁচা মটরশুটি খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে কারণ এতে অনেক সময় গর্ভাবস্থায় নারীর জরায়ু সংকোচন ঘটাতে পারে।
৬. অতিরিক্ত লবণ জনিত খাবার খাওয়া থেকেও বিরোধ থাকতে হবে এতে শরীরের ক্ষতি হতে পারে।

গর্ভাবস্থায় সুস্থ থাকার জন্য কিছু পরামর্শ

গর্ভাবস্থায় সুস্থ থাকার জন্য সর্বপ্রথম আপনার সঠিক পরামর্শ ও সঠিক তথ্য জানতে হবে তাহলে আপনি গর্ব অবস্থায় থাকাকালীন শরীর সুস্থ রাখার জন্য যে সমস্ত কার্যক্রম দরকার তা করতে পারবেন এবং আপনার ও আপনার বাচ্চার শরীর সুস্থ থাকবে। তাই আমরা আজকে আপনাকে গর্ব অবস্থায় থাকাকালীন সুস্থ থাকার জন্য কিছু পরামর্শ নিচে উল্লেখ করব।

১. পুষ্টিকর ও সুষম খাদ্য সঠিক পরিমাণ খেতে হবে।।
২. প্রতিদিন আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করতে হবে এতে আপনার ও আপনার বাচ্চার শারীরিক বিকাশে অনেক সহায়তা করবে।
৩. নিয়মিত আপনাকে ব্যায়াম করতে হবে তবে সেটা হালকা ব্যায়াম হতে হবে ভারি কোন বস্তু তোলা যাবে না।
৪. পর্যাপ্ত পরিমাণ বিশ্রাম করতে হবে এবং নিয়মিত ঘুম পারতে হবে।
৫. মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকতে হবে এবং নিয়মিত ডাক্তারের চেকআপ করাতে হবে।
৬. ধুমপান ও অ্যালকোহল জাতীয় খাবার পরিহার করতে হবে।  

গর্ভাবস্থায় যেসব কাজ করা নিষেধ

গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন এমন অনেক কাজ রয়েছে যা করলে মা ও বাচ্চার দুজনেরই ক্ষতি হতে পারে তাই আপনার সর্বপ্রথমে জানা প্রয়োজন কোন কোন কাজগুলো করলে আপনার বাচ্চার ও আপনার ক্ষতি হতে পারে। কিছু কিছু ভারী কাজ রয়েছে যেগুলো করলে বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে যেমন ভারী বস্তু বহন করা বা টিউবওয়েল চাপা এরকম ধরনের কাজ করা থেকে দূরে থাকতে তাহলে বাচ্চা ও মা দুজনে সুস্থ থাকবে। 
গর্ভাবস্থায়-পুষ্টিকর-খাবারের-তালিকা
বিশেষ করে ধূমপান জাতীয় খাবার খাওয়া যাবেনা অর্থাৎ ধূমপান করা যাবে না এবং অ্যালকোহল জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে দূরে থাকতে হবে। ও ঝাকুনি লাগে এমন কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে তাহলে গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন আপনার কোন ক্ষতি হবে না ও আপনার বাচ্চার ও কোন ক্ষতি হবে না। গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন আরো এমন কিছু কাজ রয়েছে যা করলে আপনার শরীরের পক্ষে ও আপনার বাচ্চার শরীরের পক্ষে খুবই ক্ষতিকর হতে পারে তাই এই বিষয় নিয়ে আমরা এখন নিচে আলোচনা করব।

১. ভারী জিনিস উত্তোলন করা থেকে বিরত থাকতে হবে কারণ ভারী জিনিস উত্তোলন করার কারণে গর্ভপাতের ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে তাই ভারী জিনিস উত্তোলন করা থেকে দূরে থাকতে হবে গর্ভাবস্থায় অবস্থায়।
২. গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন কঠোর পরিশ্রম করা থেকে বিরত থাকতে হবে বিশেষ করে বেশি হাঁটাহাঁটি করা যাবেনা এবং ভারী কাজ থেকে দূরে থাকতে হবে।
৩. গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন আপনাকে বিশেষ করে যে কাজটি করা থেকে বিরত থাকতে হবে সেটি হল কিছু ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে যেমন ব্যথা নাশক ওষুধ খাওয়া থেকে একদম বিরত থাকতে হবে কারণ এতে বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে।
৪. গর্ভাবস্থায় আপনাকে বিশেষ করে মানসিক চাপ থেকে দূরে থাকতে হবে কারণ যদি আপনি এই সময় বেশি মানসিক চাপ নেন তাতে আপনার ও আপনার বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে।
৫. আপনি এই সময়ে বেশি সময় ধরে বসে থাকবেন না বা দাঁড়িয়ে থাকবেন না কিছুক্ষণ পর পর বিশ্রাম নিন এবং আপনার শরীরের অবস্থান পরিবর্তন করুন তাহলে আপনি ও আপনার বাচ্চা দুজনে সুস্থ থাকবেন।

গর্ভাবস্থায় যেসব কারণে বাচ্চার জন্ম নিতে সমস্যা হতে পারে

গর্ভাবস্থায় কিছু কারণে বাচ্চার জন্ম নিতে অনেক জটিলতা দেখা দেয় এর মধ্যে রয়েছে মায়ের শারীরিক অবস্থা বা বাচ্চার স্বাস্থ্যের অবস্থা। তবে আরো কিছু কারণ রয়েছে যার কারণে বাচ্চা জন্ম নিতে অনেক ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন যদি মায়ের ডাইবেটিস হয় তাহলে সেই ক্ষেত্রে বাচ্চা বড় আকারের হতে পারে এবং বাচ্চা শ্বাসকষ্টের বা শারীরিক সমস্যা হতে পারে ও প্রসাবেও সমস্যা হতে পারে। 

আবার মায়ের যদি উচ্চ রক্তচাপ থাকে তাহলে সেই ক্ষেত্রে বাচ্চার অনেক ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে যেমন বাচ্চার বেড়ে ওঠাতে সমস্যা হতে পারে ও সময়ের আগেই বাচ্চা ডেলিভারি হয়ে যেতে পারে। যদি গর্ভাবস্থায় মায়ের ওজন বেশি বা খুবই কম হয়ে থাকে তাহলে বাচ্চা জন্ম দিতে অনেক ধরনের সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে এতে করে যদি মায়ের ওজন অতিরিক্ত বেশি হয় তাহলে বাচ্চার আকার বড় হতে পারে অথবা যদি মায়ের ওজন অতিরিক্ত কম হয় তাহলে সেই ক্ষেত্রে দুর্বল বাচ্চা জন্ম নিতে পারে।
অথবা যদি গর্ভাবস্থায় মায়ের বয়স অতিরিক্ত কমবেশি হয়ে থাকে তাহলে বাচ্চা জন্ম দিতে সমস্যা হতে পারে যেমন বয়স কম হলে উচ্চ রক্তচাপের আশঙ্কা দেখা দিতে পারে আবার বয়স অতিরিক্ত বেশি হলে ডায়াবেটিস এর আশঙ্কা বেড়ে যেতে পারে। সাধারণত এই সব কারণগুলো থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করতে হবে এবং আরো যেসব কারণে অর্থাৎ যেসব খাবার খাওয়ার মাধ্যমে বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে সেসব খাওয়ার খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। 

এবং গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন খুবই সতর্ক হিসেবে থাকতে হবে কারণ একটি বাচ্চার জন্ম দেওয়াটা খুবই গর্বের বিষয় এবং এই সময়ে যদি আপনি সতর্ক না থাকেন তাহলে বাচ্চাটি জন্ম নিতে অনেক বড় সমস্যা হতে পারে। 

গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন জিজ্ঞেসই তো কিছু প্রশ্ন ও উত্তর

পেটে বাচ্চা আসলে কি কি খাওয়া উচিত?

পেটে বাচ্চা থাকাকালীন আপনি আর অবশ্যই ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ কারণ আপনার শরীরের জন্য ও আপনার বাচ্চা শরীরের জন্য ক্যালসিয়াম পরিপূর্ণ ভাবে পাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। তাই আপনার যেসব ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার খেতে হবে তা হলোঃ দুধ,কলা,ডিম,পনির,ব্রকলি,পাতাকপি,কাটাযুক্ত মাছ,শাক,কচু,চীয়াশীড ইত্যাদি জাতীয় খাবার খাওয়া খুবই জরুরী। আবার আপনার শরীরে এই ক্যালসিয়ামগুলো শোষণ করার জন্য ভিটামিন ডি এর প্রয়োজন তাই আপনার প্রতিদিন সকালবেলা 10 থেকে 15 মিনিট রোদে বসে থাকতে হবে এতে আপনার ভিটামিন ডি এর অপূর্ণতা পরিপূর্ণ হবে।

গর্ভাবস্থায় না খেয়ে থাকলে কি কি সমস্যা হতে পারে?

গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন যদি মা না খেয়ে থাকে তাহলে অনেক ধরনের সমস্যা হতে পারে বাচ্চার বিশেষ করে অনেক বড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে কারণ এ অবস্থায় মা সঠিক সময় যদি খাওয়ার বা সঠিক মত যদি খাবার না খায় তাহলে পুষ্টির পরিমাণ কমে যেতে পারে শরীরে এবং শরীরে অনেক ধরনের দুর্বলতা কাজ করতে পারে এবং রক্তস্বল্পতাও কমে যেতে পারে। বাচ্চার ওজন কম হতে পারে এবং বাচ্চার শরীরে প্রোটিনের পরিমাণ কম হতে পারে এবং বাচ্চার দুর্বল জন্ম নিতে পারে। তাই গর্ব অবস্থায় থাকাকালীন না খেয়ে থাকা যাবে না যাতে আপনার ও আপনার বাচ্চার দুজনের জন্যই ভালো।

কখন থেকে মা তার বাচ্চার নাড়াচাড়া বুঝতে পারবেন?

মূলত ১৮ থেকে ২৪ সপ্তাহের মধ্যে মাতার বাচ্চার নাড়াচাড়া করা বুঝতে পারবেন এবং একটু ধাক্কা ও বুঝতে পারবেন তবে বিশেষ করে যতদিন যাবে আস্তে আস্তে মা তার বাচ্চার নাড়াচাড়া করা বুঝতে পারবেন।

লেখকের মন্তব্যঃ গর্ভাবস্থায় পুষ্টিকর খাবার তালিকা

গর্ভাবস্থায় পুষ্টিকর খাবার তালিকা নিয়ে আমরা আমাদের এই আর্টিকেলের মধ্যে সম্পূর্ণ তথ্য আপনাদের মাঝে তুলে ধরেছি। তাই আপনি যদি আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে আপনি গর্ব অবস্থায় থাকাকালীন সমস্ত তথ্য হয়তো বুঝতে পেরেছেন। তবে বিশেষ করে গর্ভাবস্থায় থাকার কারণ পুষ্টিকর খাবার খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ একজন মায়ের জন্য এতে করে তার সন্তানের শরীরের সুস্থতা বজায় থাকে এবং শারীরিক গঠনও ঠিকমতো পরিপূর্ণ হয়।ণী

এবং ক্যালসিয়াম জাতীয় খাবার খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ তবে আপনাকে বিশেষ করে কিছু ওষুধ খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ সঠিক সময় নিতে হবে। এ সময় আপনি কোন ভারী বস্তু তোলা থেকে বিরত থাকবেন এবং যেসব কাজ করলে আপনার বাচ্চার ক্ষতি হতে পারে সেসব কাজ থেকে খুবই দূরে থাকবেন তাতে আপনার বাচ্চার জন্য এবং আপনার জন্য ভালো। আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনি গর্ভাবস্থায় থাকাকালীন যদি কোন সমস্যার সম্মুখীন হন তা থেকে বিরত থাকার উপায় জেনে নিতে পারবেন এবং যদি এই আর্টিকেলের বাইরে আপনারা আরো কোন তথ্য জানার থাকে তাহলে কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন অথবা এডমিনের সাথে যোগাযোগ করবেন। ধন্যবাদ।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পজিশন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url