কোন ফলের পুষ্টিগুণ সবচেয়ে বেশি
কোন ফলের পুষ্টিগুণ সবচেয়ে বেশি এ সম্পর্কে আপনি কি বিস্তারিত জানতে চান? তাহলে
আপনার জন্যই আমাদের এই আর্টিকেলটি লেখা। ফল একটি পুষ্টিকর খাদ্য কিন্তু এর
মধ্যে কোন কোন ফলের পুষ্টিগুণ অনেক বেশি আছে এটা আমরা জানি না।
আমাদের সবার ফল খাওয়ার আগে কোন ফলের পুষ্টিগণ মান বেশি এবং কোন ফলে কোন ভিটামিন বা প্রোটিন থাকে এটা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই আশা করি কোন ফলের পুষ্টিগুণ সবচেয়ে বেশি তা জানতে আমাদের আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ কোন ফলের পুষ্টিগুণ সবচেয়ে বেশি
- কোন ফলের পুষ্টিগুণ সবচেয়ে বেশি
- সবথেকে বেশি পুষ্টি সম্পন্ন ১০টি ফলের সম্পর্কে বর্ণনা
- কোন ফলে সব থেকে বেশি প্রোটিন থাকে
- কোন ফলে অধিক পরিমাণ ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম থাকে
- বাংলাদেশের ফলে পুষ্টিগুণের তালিকা
- দেশীয় ফলের ঔষধি গুণ সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
- ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা
- শরীরকে মজবুত রাখতে ফলের প্রয়োজনীয়তা
- বেশি ফল নাকি বিদেশে ফল কোনটি বেশি ভালো
- লেখকের মন্তব্যঃ কোন ফলের পুষ্টিগুণ সবচেয়ে বেশি
কোন ফলের পুষ্টিগুণ সবচেয়ে বেশি
কোন ফলের পুষ্টিগুণ সবচেয়ে বেশি এটা জানার আগে আমাদের জানা দরকার কোন ফল আমাদের
শরীরের জন্য বেশি ভালো। ফল একটি পুষ্টিকর খাবার এটা আমরা সবাই জানি। এবং এই ফলকে
শক্তি পাওয়ার হাউজও বলা হয়। ফল খাওয়ার মাধ্যমে আমরা আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে
পারি এবং আমাদের শরীরের রোগ থেকে মুক্ত হতে পারি। তাই ফল আমাদের শরীরের জন্য খুবই
গুরুত্বপূর্ণ খাবার। ফলের মধ্যে অনেক ফলে অনেক বেশি পরিমাণ প্রোটিন ভিটামিন
ক্যালসিয়াম থাকে।
আর তাই আমাদের সবার আগে জানা উচিত কোন ফলে কোন ভিটামিন আছে এবং কোন ফলে কোন
প্রোটিন রয়েছে। ফল খাওয়ার মাধ্যমে মানুষের ত্বক ও সুন্দর থাকে। তাই শরীরকে
মজবুত রাখতে ফল খাওয়ার গুরুত্ব অনেক বেশি। আমাদের শরীরে অনেক সময় ভিটামিন
ক্যালসিয়াম বা প্রোটিনের অপূর্ণতা দেখা যায়। এই ঘাটতি গুলো পূরণ করতে আমাদের ফল
খেতে হবে। এবং আমাদের শরীরের কোন উপাদানটির বেশি প্রয়োজন সেটাই জানার জন্য ফলের
পুষ্টিগুণ বা কোন ফলে কোন পুষ্টি রয়েছে সেটা জানা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
তাই আমরা সব সময় ফল খাওয়ার আগে জেনে নেব কোন ফলে পুষ্টি গুণ বেশি। তাহলে আমরা
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে স্বার্থপর খাবারটি বেছে নিতে পারব এবং আমাদের শরীরের জন্য
কোন ফলটি ওদিক প্রয়োজনীয় সে সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবো। আমরা
হয়তো জানি না এক একটি ফলে একেক ধরনের পুষ্টি মান রয়েছে আমাদের শরীরের জন্য একটি
ফল একেক রকমের কার্যকর। আমরা যদি ফলের পুষ্টিগুণ সম্পর্কে ধারণা রাখি তাহলে
আমাদের শরীরের রোগ মুক্ত হওয়ার জন্য আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় ফল খুবই তাড়াতাড়ি
বেছে নিতে পারব।
আরো পড়ুনঃ অতি সহজে কিভাবে মোটা হবেন
উদাহরণস্বরূপ বলা যায় কমলা লেবুতে যেমন ভিটামিন সি বেশি পরিমাণে রয়েছে ঠিক
তেমনি কলাতে পটাশিয়াম রয়েছে অনেক আবার আপেলেও অধিক পরিমাণ ফাইবার রয়েছে।
অনেক সময় দেখা যায় আমাদের শরীরে বয়স বাড়ার সাথে সাথে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি
দেখা দেয় সেই ক্ষেত্রে আমরা ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করার জন্য কোন ফলটি খাব এই
সম্পর্কে জানতে আমাদের প্রথমে জানা উচিত কোন ফলে কোন পুষ্টি গুন রয়েছে। তাই
পরিশেষে বলা যায় ফল আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং অনেক ভূমিকা পালন
করে। তাই আমাদের বেশি বেশি ফল খাওয়া উচিত। এবং ফল সম্পর্কে অধিক পরিমাণ ধারণা
নিতে আমাদের এই আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন।
সব থেকে বেশি পুষ্টি সম্পন্ন ১০টি ফলের সম্পর্কে বর্ণনা
আমাদের শরীরের জন্য যেমন ফল খাওয়া খুবই প্রয়োজনীয়। ঠিক তেমনি ফল খাওয়ার আগে
আমাদের জানা প্রয়োজন কোন ফলে সবচেয়ে পুষ্টিমান বেশি এবং কোন ফল শরীরের জন্য
অধিক প্রয়োজনীয়। তাই আমরা এখন জানব সবথেকে বেশি যে ১০টি ফলের
পুষ্টিমান বেশি। আশা করি মনোযোগ সহকারে আপনারা পড়বেন এবং এখান থেকেই ফল সম্পর্কে
জ্ঞান অর্জন করবেন। নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হলোঃ
১.আপেলঃ আপেল সাধারণত একটি পুষ্টিকর ফল। আপেল দেহের জন্য অনেক উপকারী। আপেল খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীর অনেক রোগ মুক্ত থাকে। একটি মাঝারি সাইজের আপেল মূলত ৮০ ক্যালোরি থাকে। এবং আপেল খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরে হার্টের রোগ হওয়ার আশঙ্কা অনেক কম থাকে।আপেলের খোসাতে অনেক কোলেস্টরেল থাকে। তাই আশা করি আপেলের খোসা কেউ ফেলে না দিয়ে খোসা সহ আপেল খাবেন। আপেলের খোশায় অনেক রোগ প্রতিরোধে কম্পাউন্ড রয়েছে যা আমাদের শরীরে রক্ত তৈরি করতে ও রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে।
২. আমঃ আম অনেক সুস্বাদু ফল এবং আমকে ফলের রাজাও বলা হয়। আম সাধারণত আমাদের শরীরকে
রক্তচাপ এবং হৃদয় স্পন্দন নিয়ন্ত্রণে অনেক সাহায্য করে থাকে। আমি
অনেক পরিমাণ ভিটামিন সি রয়েছে যা আমাদের শরীরে অনেক প্রয়োজনে লাগে। আম খাওয়ার
মাধ্যমে মুখের ক্যান্সার থেকে এবং হার্ট এর ঝুঁকি কমাতে সাহায্য করে। তাই আম
আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধের এবং পুষ্টির জন্য অনেক প্রয়োজনীয় খাদ্য বা ফল বলে
গণ্য করা হয়।
৩. জামঃ জাম খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরের অনেক রোগ মুক্ত হতে পারে। জাম খাওয়ার মাধ্যমে
ভিটামিন সি এর অভাব পূরণ হয়। এবং জাম দাতের জন্য অনেক উপকারী। আবার জাম খাওয়ার
মাধ্যমে ডায়াবেটিস রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। ও যারা ডায়াবেটিস রোগী রয়েছে
এরা যদি প্রতিদিন সকালে একটা চামচ গ্রামের বিচি গুড়া খায় তাহলে ডায়াবেটিস
নিয়ন্ত্রণে থাকে। এবং উচ্চ রক্তচাপও কমিয়ে থাকে জাম।
বর্তমানে মানুষের অনেক উচ্চ রক্তচাপের কারণে অনেক অনেক বেশি সমস্যা হয়ে থাকে। আর
এই জাম খাওয়ার মাধ্যমে আমরা উচ্চারণ রক্তচাপ কমাতে পারি। জামে রক্তের কোলেস্টেরল
কমিয়ে নিয়ন্ত্রণে রাখে। যা মরণবেদি ক্যান্সার রোগ কমাতে ও সাহায্য করে এবং
মুখের দুর্গন্ধ সরাতেও অনেক উপযোগী। তাই বলা যায় জাম আমাদের শরীরের জন্য অনেক
বেশি গুরুত্বপূর্ণ একটি ফল। এবং ফলের পুষ্টিগুণ এর মধ্যে গ্রামের তুলনা
অতুলনীয়।
৪. লিচুঃ লিচু একটি সুস্বাদু ফল। কোন রকম থাকে না এর কারণে সব ধরনের মানুষই লিচু খেতে
পারে। এটি সবার জন্যই উপযুক্ত ও উপকারী ফল। লিচুতে অনেক ভিটামিন এ ও ভিটামিন
সি রয়েছে। এবং লিসও আমাদের শরীর থেকে ক্যান্সারকে প্রতিরোধ করার
ক্ষমতা রাখে। এবং লিচুতে থাকা ম্যাগনেসিয়াম ও মেঘনা নিউজ আমাদের শরীরের
রক্তের উপাদান তৈরিতে অনেক সহযোগিতা করে। এবং লিচুতে এই ভিটামিন সি থাকার
কারণে পাশাপাশি এন্টি অক্সিডেন্ট থাকার কারণে আমাদের ত্বকের উজ্জ্বলতা অনেক
বৃদ্ধি পায়। ত্বকের ব্রণ ও কালো দাগ দূর করতে সাহায্য করে। পরিশেষে বলা যায়
লিচু অনেক গুণসম্পন্ন একটি ফল। যা আমাদের শরীরকে অধিক পুষ্টি দিয়ে থাকে তাই
লিচু খাওয়া আমাদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
৫.কাঁঠালঃ কাঁঠাল অনেক রসালো ও সমষ্টি ফল। কাঁঠালের বিচিতে রয়েছে অনেক
প্রোটিন,ক্যালরি,ক্যালসিয়াম পটাশিয়াম,ম্যাগনেসিয়াম,ফলিক এসিড,ভিটামিন সি।
কাঁঠাল সাধারণত সর্দি-কাশি ঠেকাতে অনেক সাহায্য করে এদের ভিটামিন সি থাকার কারণে।
কাঁঠালে অনেক অনেক রকম উপাদান রয়েছে যা আমাদের শরীরকে অনেক মজবুত রাখতে
সাহায্য করে। তাই কাঁঠালের গুরুত্ব অনেক বেশি আমাদের শরীরের জন্য। এর
একটি কারণ হতে পারে আমাদের নার্ভাসনেস কমাতে কাঁঠাল বেশ কার্যকরী।
৬. আনারসঃ আনারস হলে একটি মিষ্টি ফল। আনারসের মধ্যে রয়েছে ব্রোমিলেন। যা আমাদের শরীরের
হার্ট অ্যাটাক ওয়েস্টকে ঢুকিয়ে কমাতে অনেক সাহায্য করে থাকে। আর এই কারণেই
আনারস অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফল ও অনেক পুষ্টিগুণ সম্পন্ন হল হিসেবে গণ্য করা হয়।
৭. আঙ্গুরঃ আমরনে প্রাচুর্যপূর্ণ স্বাস্থ্যকর ফল। আঙ্গুর আমাদের শরীরের ব্লাড প্রেসার কমাতে
সাহায্য করে। এবং বিজ্ঞানীদের মধ্যে প্রমাণিত আঙ্গুর পটাশিয়ামের সমৃদ্ধ একটি উৎস
এবং মানুষের মাংস বেশীর যন্ত্রণাদায় সংকোচন প্রতিরোধ করে থাকে। তাই বলা যায়
আঙ্গুর রোগ বেধের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ একটি ফল।
৮. কলাঃ কলা একটি ফল হিসেবে আদর্শ খাবার। কলাতে রয়েছে পটাশিয়াম। যা আমাদের শরীরকে দীর্ঘ
সময় শক্তিপূর্ণ হিসেবে ধরে রাখে। এই ফলে কোন ধরনের ফ্যাট বা লবন থাকে না
তাই এই ফল সব ধরনের মানুষই খেতে পারে। কলার প্রশংসা সাধারণত তিন থেকে পাঁচ দিনের
মধ্যে হয়ে থাকে। আর এই খাবারটি মানুষের শরীরকে মজবুত থাকতে অনেক ভূমিকা
রাখে। তাই পুষ্টিপূর্ণ খাদ্য হিসেবে কলা অনেক আদর্শ খাবার।
৯. ডালিমঃ ডালিমের রসে সাধারণত এন্টিঅক্সিডেন্ট থাকে। এবং এটি রক্ত তৈরি করতে অনেক সাহায্য
করে। বিশেষ করে ডাক্তারি প্রেসক্রিপশনে এই ফলটির নাম বেশি লেখা থাকে কারণ একটা
রোগীর জন্য ডালিম খাওয়া খুবই জরুরী হয়ে পড়ে। তাই ডালিম আমাদের জন্য অনেক
জনপ্রিয় ও গুরুত্বপূর্ণ খাবার।
১০.বাদামঃ বাদাম একটি স্বাস্থ্যকর খাবার। বাদামের সাধারণত অনেক পুষ্টিকর উপাদান থাকে।
এবং বাদাম খাওয়ার মাধ্যমে আমরা আমাদের শরীরের ক্লান্তি কমাতে পারি। তাই পরিশেষে
বলা যায় বাদাম অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফল এবং অনেক পুষ্টিকর ফল আমাদের দেহের জন্য।
কোন ফলে সবথেকে বেশি প্রোটিন থাকে
আমরা জানি ফল একটি আদর্শ খাবার আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য। তাই আমাদের উচিত
নিয়মিত শরীরকে মজবুত রাখতে ও সুস্থ রাখতে পরিমাণ মতো ফল খাওয়া। ফল খাওয়ার
মাধ্যমে আমরা আমাদের শরীরের সবটুকু ঘাটতি পূরণ করতে পারব। এবং এর ফলের মধ্যে
রয়েছে অনেক ধরনের ভিটামিন বা প্রোটিন ও ক্যালসিয়াম। তাই আমাদের সব সময়
নিজের শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য পর্যাপ্ত
পরিমাণ ফল খাওয়া প্রয়োজন এতে করে
আমাদের শরীরের যে ভিটামিন বা প্রোটিনের ঘাটতিটুকু রয়েছে সেটা পূরণ হবে।
আমাদের সবার জানা উচিত কোন খাবারে কোন ধরনের প্রোটিন রয়েছে এবং কোন ধরনের
ভিটামিন রয়েছে এটা জানার মাধ্যমে আমরা আমাদের শরীরের ঘাটতি অনুযায়ী ফল খেতে
পারব। অতএব আমাদের এই আর্টিকা থেকে আপনি জানতে পারবেন কোন ফলে কত গ্রাম প্রোটিন
রয়েছে। কয়েকটি ফলের তালিকা নিচে দেওয়া হলোঃ
ফলের নাম | প্রোটিনের পরিমাণ |
---|---|
পেয়ারা | প্রতি ১০০ গ্রামে ২.৬ গ্রাম |
কাঁঠাল | ১০০ গ্রামে ১.৭ গ্রাম |
কমলা | ১০০ গ্রামে ১.২ গ্রাম |
কলা | ১০০ গ্রামে ১.১ গ্রাম |
অ্যাভোকাডো | ১০০ গ্রামে ২ গ্রাম |
কিউই | ১০০ গ্রামে ২ গ্রাম |
অ্যাপ্রিকট | ১০০ গ্রামে ২.৩ গ্রাম |
কিসমিস | ১০০ গ্রামে ১ গ্রাম |
কোন ফলে অধিক পরিমাণ ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম থাকে
একটি মানুষের শরীরে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম না থাকে তাহলে সে
অসুস্থ হয়ে যেতে পারে। একটি মানুষের শরীরের জন্য অধিক পরিমাণ ভিটামিন ও
ক্যালসিয়াম প্রয়োজন। ক্যালসিয়াম মানুষের শরীরের হাড় ও বেশি কে শক্ত করতে
সাহায্য করে। একজন ও ১৯ বছর বয়সী প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য প্রতিদিন ৭০০ গ্রাম
ক্যালসিয়াম প্রয়োজন। আরে ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণ করতে পারে একমাত্র প্রাকৃতিক
ফল।
আরো পড়ুনঃ সহজে মোটা হওয়ার 10 টি উপায়
তাই আমাদের প্রয়োজন প্রতিদিন ৭০০ গ্রাম এর বেশি ক্যালসিয়াম থাকে এমন ফল খাওয়া।
অতএব আমাদের শরীরের ক্যালসিয়ামের ঘাটতি পূরণের জন্য প্রতিদিন পরিমাণ মতো ফল
খাওয়া প্রয়োজন। যেমন উদাহরণস্বরূপ বলা যায় মাঝারি আকারের একটি কমলা তে ৭০
মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। তাই আপনারা প্রতিদিনের ঘাটতি পূরণ করতে এই
ফলটি খেতে পারেন। আঙ্গুর ফলে ১০০ গ্রামে প্রায় ২০ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম পাওয়া
যায়।
পেয়ারেতে এক গ্রামে প্রায় ১৮ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। কিসমিসে ১০০
গ্রামে প্রায় ৬২ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম পাওয়া যায়। তাহলে আপনি জানতে পারলেন এই
কয়েকটি ফলে কত মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম রয়েছে। অতএব আমাদের ফল খাওয়ার আগে জেনে
নিতে হবে আমাদের ফলে কোন ধরনের উপাদান রয়েছে। যদি আমাদের শরীরে ক্যালসিয়ামের
পরিমাণ কম থাকে তাহলে আমরা সেই অনুপাতে এই ফলগুলো বেশি বেশি
খেতে পারি।
তাই আমার মতে বলা যায় যে কোন কিছু খাওয়ার আগে সেই সম্পর্কে আগে ভালোভাবে জেনে
নেওয়াটাই উচিত। এতে আমাদের শরীরের কোন উপাদানের ঘাটতি রয়েছে সেই সম্পর্কে জেনে
আমরা খাবার খেতে পারি। ক্যালসিয়াম মানব শরীরের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ খনিজ
উপাদান। সাধারণত ক্যালসিয়ামের অভাব হলে শরীরে দাঁতের সমস্যা দেখা দেয় এবং হার্ট
দুর্বল হতে থাকে। ঠিক তেমনি ভিটামিন ও আমাদের শরীলের জন্য অনেক প্রয়োজন এমন অনেক
খাবার রয়েছে যাতে অনেক ভিটামিন রয়েছে যেমন আপেল,কমল,আঙ্গু্র, কলা
ইত্যাদি।
এই খাবারগুলো আমাদের শরীরের জন্য অনেক পরিমাণ ভিটামিন সরবরাহ করে থাকে। তাই
আমাদের শরীরে যদি ভিটামিনের পরিমাণ অনেক কম থাকে তাহলে আমরা এই ফলমূল গুলো খেয়ে
ভিটামিনের ঘাটতি পূরণ করতে পারি। অতএব পরিশেষে বলা যায় প্রত্যেকটি খাবারের আলাদা
আলাদা গুণ রয়েছে সেই গুণগুলো সম্পর্কে জানতে হবে এবং আমাদের শরীরে কিসের ঘাটতি
সে সম্পর্কে জেনে আমাদের সেই ঘাটতি পূরণের জন্য যে ফল খাওয়া উচিত বাছাই করা খুবই
প্রয়োজনীয়।
বাংলাদেশের ফলে পুষ্টিগুণের তালিকা
আমরা সবাই মনে করি হয়তো বিদেশি ফলেই পুষ্টির সংখ্যা বেশি থাকে কিন্তু না আমাদের বাংলাদেশীও ফলে অনেক পরিমাণ পুষ্টি রয়েছে। আমাদের বাংলাদেশ এমন অনেক ফল রয়েছে যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক অনেক ভিটামিন সরবরাহ করে থাকে। তাই আমরা এই পোষ্টের মাধ্যমে জানবো আমাদের বাংলাদেশেও কয়েকটি ফলে কোন ধরনের ভিটামিন রয়েছে। এর তালিকা নিচে দেওয়া হলোঃ
ফলের নাম | ভিটামিন বি-১ (মিলিগ্রাম) | ভিটামিন বি-২ (মিলিগ্রাম) | ভিটামিন সি (মিলিগ্রাম) |
---|---|---|---|
আম | ০.১০ | ০.০৭ | ৪১ |
কাঁঠাল | ০.১১ | ০.১৫ | ২১ |
লিচু | ০.০২ | ০.০৬ | ৩১ |
পেয়ারা | ০.২১ | ০.০৯ | ২১০ |
কাগজি লেবু | ০.০২ | ০.০৩ | ৬৩ |
কুল | ০.০২ | ০.০৫ | ৫১ |
বেল | ০.০৩ | ০.০২ | ৯ |
কদবেল | ০.৮০ | ০.০৩ | ১৩ |
লেবু | - | ০.০৩ | ৪৭ |
কমলা | ০.০৪ | ০.০১ | ৪০ |
জাম | ০.০৯ | ০.০২৪ | ৬০ |
ডালিম | ০.০২ | - | ২৬ |
কলা | ০.১০ | ০.০৫ | ২৪ |
পেপে | ০.০৮ | ০.০৩ | ৫ |
দেশীয় ফলের ঔষধি গুন সম্পর্কে বিস্তারিত জানুন
ফল খাওয়ার অনেক উপকারিতা রয়েছে এবং এর অনেক ঔষধি গুণরয়েছে। অনেক ফলের
পুষ্টির পাশাপাশি ও ভিটামিনের পাশাপাশি অনেক ঔষধি গুণ আছে এ সম্পর্কে আমরা
হয়তো জানি না। এ প্রশ্নের মাধ্যমে আমরা আমাদের দেশের কয়েকটি ফলের ঔষধি গুন
সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় আমাদের দেশে যেমন রয়েছে
তরমুজ। এই ফলটিতে অনেক পরিমাণ পানীয় বা তরল পানি পাওয়া যায়। তরমুজ অনেক
পরিমাণ এমন এসিড রয়েছে।
তরমুজ সাধারণত যারা জিম করে এদের জন্য অনেক গুরুত্বপূর্ণ খাদ্য হয়ে দাঁড়ায়।
কারণ এটি শরীরকে অনেক সময় ওয়ার্ক আউট করার জন্য প্রস্তুত রাখে। এবং
শরীরকে অনেক সতেজ রাখে। তাই এটি খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরে পানি সংক্রান্ত
সমস্ত রোগ সমাধান হয়ে যায়। ঘরের মধ্যে রয়েছে কলা। কলা আমাদের শরীরের
কিডনির পাথর প্রতিরোধ করে থাকে। তাই কলা কিডনির পাথরে রোগের ঔষধি ফল হিসেবে
অনেক প্রয়োজনীয়।
এবং ডাক্তারদের মতে যাদেরকে নিজে পাথর হয় তাদের অধিক পরিমাণ কলা খাওয়া
প্রয়োজন এতে কিডনিতে পাথর প্রতিরোধ হতে থাকে। তাই বলা যায় কলার অনেক ঔষধি গুণ
রয়েছে। আপেল অনেক সুস্বাদু খাবার কিন্তু এর ঔষধিগুলো অনেক বেশি রয়েছে যেমন
আপেলের কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়রিয়া কমাতে সাহায্য করে। তাই কোষ্ঠকাঠিন্য ও
ডায়রিয়া রোগের প্রতিকারক হিসেবে আপেল অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফল। আরেকটি ফল রয়েছে
আমাদের শরীরের অনেক উপকার করে সেটি হলো ব্লুবেরি।
এই ফলটি আমাদের মস্তিষ্কের অনেক সমস্যার সমাধান করে। আমাদের মস্তিষ্কের
স্বাস্থ্যের অনেক উন্নতি ঘটায়। এবং মানসিক সমস্যার প্রতিরোধ করে। এমন
অনেক দেশীয় ফল রয়েছে যা আমাদের শরীরের পক্ষে অনেক উপকারী। আর এই ফল
গুলোর অনেক ওষুধে গুনো রয়েছে। তাই আমাদের জানা প্রয়োজন কোন ফলের ঔষধি গুণ
কেমন। এর ফলে আমাদের শারীরিক কোন সমস্যা হলে আমরা অতি সহজেই সমাধান করতে পারব।
তাই অসুস্থ ও সুস্থ মানুষের জন্য ফল খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা অনেক।
ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা
ফল অনেক আদর্শ খাবার হলেও প্রত্যেকটি ফলের যেমন উপকারিতা ও রয়েছে ঠিক তেমনি
অপকারিতা রয়েছে। সুতরাং ফলের উপকারিতা সম্পর্কে জানার সাথে সাথে অপকারিতা
সম্পর্কে জানাটাও প্রয়োজনীয়। হয়তো অনেকের মনে প্রশ্ন থাকতে পারে খালি পেটে
ফল খেলে কেউ অনেক ক্ষতি হতে পারে কিন্তু না খালি পেটে ফল খেলে কোন উপকার ক্ষতি
হয় না। তবে এর আগে আমাদের জানা উচিত কোন সময় ফল খাওয়ার আদর্শ সময়। খালি
পেটে ফল খেলে আমাদের শরীর অনেক মজবুত ও সুস্থ থাকে। তবে অনেকে মনে করে খালি
পেটে ফল খেলে পাকস্থলী বা গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হতে পারে।
আবার অনেকেই বলে খালি পেটে ফল খেলে শরীরের এনার্জি বাড়ে এবং অনেক প্রকার শক্তি
সাধন করতে সাহায্য করে। এবং খালি পেটে ফল খেলে হজম শক্তি বাড়ে। আবার অনেক
ক্ষেত্রে দেখা যায় সব ধরনের ফল খেলে অনেক ক্ষতি হতে পারে শরীরের পক্ষে।
আসলে সবাই হয়তো জানে না যে প্রত্যেকটি ফলের যেমন প্রতিক্রিয়া রয়েছে ঠিক
তেমনি কিছু কিছু ফলের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। তাই ফল খাওয়ার আগে আপনাদের
জানা উচিত কোন ফলের পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া আছে এবং কোন ফলে কোন প্রতিক্রিয়া
নেই।
খালি পেটে ফল খেলে উপকারিতা কি কিঃ
১. পুষ্টির সর্বোচ্চ শ্মশান করতে সাহায্য করে।
২. হজম প্রক্রিয়ার কার্যকারিতা অনেক বেশি থাকে।
৩. নিয়মিত খালি পেটে ফল খেলে কোষ্ঠকাঠিন্য ও ডায়রিয়া রোগ থেকে বিরত থাকা
যায়।
৪. নিয়মিত ফল খাওয়ার মাধ্যমে শরীরে এনার্জি অনেক বৃদ্ধি হতে থাকে।
৫. নিয়মিত খালি পেটে ফল খেলে কিডনি এবং লিভার বা অন্যান্য অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ অনেক
কার্যকর থাকে।
সাধারণত যাদের জন্য খালি পেটে ফল খাওয়া নিষেধঃ
১. যেসব রোগীদের গ্যাস্ট্রিক বা আইসিডিটির সমস্যা রয়েছে তাদের নিয়মিত খালি
পেটে ফল খাওয়া নিষেধ।
২. যাদের শরীরে ডায়াবেটিকস রয়েছে তাদের খালি পেটে ফল খাওয়া নিষেধ আছে।
৩. যাদের পেট ফাঁপার অনেক সমস্যা রয়েছে তাদের জন্য খালি পেটে ফল খাওয়া নিষেধ
রয়েছে।
এতক্ষণে হয়তো আপনারা বুঝতে পেরেছেন ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। সুতরাং
ফল খাওয়ার আগে আপনাদের ফলের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে হবে। ও কোন
সময় আপনাদের ফল খেলে শরীর এবং মন সবসময় ভালো থাকবে সেটা জেনে
নেওয়া উচিত। আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে যতক্ষণ বুঝতে পেরেছেন আপনাদের কোন
সময় ফল খাওয়া উচিত এবং কোন সময় ফল খাওয়া উচিত নয়।
শরীরকে মজবুত রাখতে ফলের প্রয়োজনীয়তা
শরীরকে মজবুদ্ধ রাখতে ফলের প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। কারণ ফল খাওয়ার মাধ্যমে
আমাদের শরীর অনেক এনার্জি ফুল থাকে এবং আমাদের পাকস্থলী মজবুত হতে থাকে। তাই
নিয়মিত আমাদের ফল খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। অনেকে আছে যারা দেখা যায়
নিয়মিত ফল খেয়ে থাকে দেখবেন তাদের শরীর সবসময় ফিট এবং মজবুত থাকে। তাই
আমাদের নিয়মিত ফল খাওয়া খুবই প্রয়োজন। আমাদের দেশের ফলের মধ্যে অনেক
ধরনের পুষ্টি বা অনেক ভিটামিন ও ক্যালসিয়াম রয়েছে ততক্ষণ আপনারা বুঝতে
পেরেছেন।
অতএব সবসময় চেষ্টা করবেন তিন বেলা খাবার খাওয়ার পাশাপাশি পুষ্টি সম্পন্ন
ফল খাওয়ার। এতে আপনাদের শরীর পুরোপুরি পুষ্টি সম্পন্ন হবে এবং শরীরে কোন
পুষ্টিহীনতা দেখা দিলে সে সমস্যা থেকে বের হয়ে আসতে পারবেন। অনেক সময় দেখা
যায় নিয়মিত শরীরে পুষ্টি না দেওয়ার কারণে অনেক রোগ জীবাণুর সম্মুখীন হতে
হয়। এই কারণে আমাদের উচিত আমাদের শরীর সুস্থ রাখার জন্য পুষ্টি সম্পন্ন খাবার
খাওয়া।
আরো পড়ুনঃ মোটা হওয়ার জন্য কোন ব্যায়াম গুলো করবেন
এর একটি উপায় রয়েছে নিয়মিত খাবার খাওয়ার পাশাপাশি আমরা যদি ফল খেয়ে থাকি
তাহলে আমাদের শরীর সবসময় মজবুত থাকবে। আবার দেখা যায় খালি পেটে সকালে ফল
খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীর অনেক এনার্জি ফুল হয়ে থাকে। তাই আপনাদের শরীরকে
মজবুত রাখতে নিয়মিত ফল খাওয়া প্রয়োজন এবং ফল সম্পর্কে ধারণা
থাকা প্রয়োজন।
বেশি ফল নাকি বিদেশি ফল কোনটি বেশি ভালো
আমরা জানি প্রত্যেকটি ফলেই কিছু না কিছু পুষ্টি বা ভিটামিন রয়েছে। তাই
প্রত্যেকটি ফল খাওয়ায় প্রয়োজন। কিন্তু অনেকের মনে সন্দেহ থাকতে পারে যে
আমাদের দেশের ফল বেশি পুষ্টি সম্পন্ন নাকি বিদেশি ফল বেশি
পুষ্টি সম্পূর্ণ। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় আমাদের দেশীয় ফল বেশি পরিমাণে
ক্যালরি থাকে এবং বেশি পরিমাণে পুষ্টিও দিয়া থাকে। দেশি ফলে কোন প্রকার
ফরমালিন বা আমাদের শরীরের জন্য অযোগ্য এমন কিছু ব্যবহার করা হয় না কিন্তু
বিদেশি ফলে অনেক রকমের ফরমালিন বা ঝুঁকিপূর্ণ কিছু ব্যবহার করা হয়ে
থাকে।
কারণ এই ফলগুলো বাইরে থেকে আনা হয় এবং অনেকদিন সংরক্ষণ করার জন্য অনেক রকমের ঔষধ ব্যবহার করা হয়ে থাকে। তাই আমরা প্রাকৃতিক দিক থেকে ভেবে চিন্তে আমাদের দেশের ফলগুলোই বেশি পুষ্টি সম্পন্ন ও ভালো হয়ে থাকে। আমরা চেষ্টা করব সব সময় ফল খাওয়ার জন্য সম্পর্কে ধারণা নেওয়ার। যেন আমরা কোন প্রকার খারাপ ফল খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ি এটা থেকে বিরত থাকার। তবে আমাদের দেশীয় ফল আমাদের জন্য বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং বেশি ভালো হয়ে থাকে।
তবে বিদেশি ফলেও অনেক বেশি পুষ্টি থেকে থাকে কোন কোন ক্ষেত্রে বিদেশি এমনও ফল রয়েছে যা তে আমাদের দেশের অনেক ফলেও এত পুষ্টি থাকে না। তাই ফল খাওয়ার ক্ষেত্রে আপনার জানা উচিত কোন কোন ফল গুলো বেশি পুষ্টি সম্পন্ন সেগুলো বাছাইকৃত করে খাওয়ার চেষ্টা করবেন। এতক্ষণে হয়তো বুঝতে পেরেছেন কোন কোন ফলগুলো বেশি পুষ্টি সম্পন্ন এবং আপনাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পরিশেষে বলা যায় শরীরকে মজবুত রাখার জন্য ফলের গুরুত্ব অপরিসীম।
লেখকের মন্তব্যঃ কোন ফলের পুষ্টিগুণ সবচেয়ে বেশি
কোন ফলের পুষ্টিগুণ সবচেয়ে বেশি এই বিষয়ে জানাটা অনেক গুরুত্বপূর্ণ এটা
হয়তো এতক্ষণে আপনারা বুঝতে পেরেছেন। আমাদের এই আর্টিক্যাল এর মাধ্যমে কোন ধরনের
ফলে অনেক বেশি পুষ্টি থাকে তা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে এবং কোন ফলে কোন ধরনের
পুষ্টি রয়েছে বা ভিটামিন বা প্রোটিন বা ক্যালসিয়াম এইসব উপাদানগুলো রয়েছে সে
বিষয়ে অনেক ভালোভাবে আলোচনা করা হয়েছে। তাই কোন কোন ফলের পুষ্টিগুণ
সবচেয়ে বেশি সম্পর্কে ধারণা পেটে আমাদের এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়বেন।
তাহলে আপনি আপনার শরীরের ঘাটতি অনুযায়ী সঠিক ফলটি বাছাই করতে পারবেন। আরো আমাদের
এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে কোন সময় ফল খাওয়া উচিত এবং কোন কোন সময়ে আপনাদের
ফল খাওয়া উচিত নয়। ফল একটি আদর্শ খাবার এটি আমরা সবাই জানি এবং এই ফল খাওয়ার
মাধ্যমে আমাদের শরীরে অনেক ঘাটতি পূরণ হয়ে থাকে। তাই ফল খাওয়া অনেক
গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে ফল খাওয়ার আগে সঠিক ফলটি বাছাই করতে
জানতে হবে এই কারণে আমাদের এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে আপনাকে পড়তে হবে।
তাহলে আপনি আপনার ঘাটতি অনুযায়ী সঠিক ফলটি বেছে নিতে সফল হবেন। পরিশেষে বলা যায়
আমাদের শরীরের জন্য ফল খাওয়া উচিত প্রয়োজনীয় এবং কোন ফলের পুষ্টিগুণ সবচেয়ে
বেশি এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানাটা খুবই প্রয়োজনীয় ও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনার যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে
জানিয়ে যাবেন এবং এই পোস্টের আনুষঙ্গিক আরো বিষয়গুলো জানতে এই ওয়েবসাইটের
এডমিনের সাথে যোগাযোগ করুন যোগাযোগ পেজের মাধ্যমে।
পজিশন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url