মোটা হওয়ার সবথেকে ভালো উপায়

মোটা হওয়ার সবথেকে ভালো উপায় সম্পর্কে জানতে চান? তাহলে আমাদের এই আর্টিকেলটি আপনার জন্য। আমাদের আর্টিকেলের মধ্যে আপনি আরো জানতে পারবেন কোন কোন খাবার খেলে আপনি মোটা হতে পারবেন। বয়সের তুলনায় ও উচ্চতার তুলনায় ওজন কম বা আন্ডার ওয়েট 
মোটা-হওয়ার-সবথেকে-ভালো-উপায়
হওয়া কিন্তু অনেক বড় সমস্যার কারণ হতে পারে। এবং অনেকেই আছেন যারা মোটা হওয়ার জন্য অনেক কিছু চেষ্টা করার পরেও মোটা হতে পারছেন না তাহলে এই আর্টিকেলটি তাদের জন্যই। তাই মোটা হওয়ার সবথেকে ভালো উপায় জানতে আর্টিকেলটি  মনোযোগ সহকারে পড়ুন।

প্রেজ সূচিপত্রঃ মোটা হওয়ার সবথেকে ভালো উপায়

মোটা হওয়ার সবথেকে ভালো উপায়

মোটা হওয়ার সবথেকে ভালো উপায় সম্পর্কে জানার আগে আপনার জানতে হবে মোটা হতে গেলে কি কি করা প্রয়োজন। আমাদের দেশে সুষম খাবারের অভাবে অনেক মানুষের স্বাস্থ্য রোগা হয়ে যায়। রোগা স্বাস্থ্যের জন্য মানুষ অনেক সময় অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয় বা অনেক অবহেলা অবজ্ঞার সম্মুখীন হয়ে পড়ে। এসব সমস্যার সমাধান বা সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য মানুষ অনেক সময় অনেক ধরনের প্রক্রিয়া অবলম্বন করে থাকে। 

তাই এই আর্টিকেলটি আপনাদের তৈরি করা হয়েছে যেন আপনারা কোন অবজ্ঞার শিকার না হন। অতএব দ্রুত মোটা হওয়ার জন্য আর্টিকেলটি পড়তে থাকুন। সাধারণত বর্তমানে মোটা হওয়ার অনেক উপায় রয়েছে উপায় গুলো অনুসরণ করার মাধ্যমে আপনি অতি সহজেই মোটা হতে পারবেন। তবে সব থেকে আগে মোটা হওয়ার জন্য আপনাকে আপনার খাবারের জন্য এবং বিশ্রামের জন্য একটি তালিকা করা প্রয়োজন। কারণ রুলস ছাড়া যেকোনো সময় খাবার খেলেই মোটা হতে পারে না। 

সময় মতো বিশ্রাম না নিয়ে অসময়ে বিশ্রাম নিলে মানুষ মোটা হতে পারে না। মোটা ও স্বাস্থ্যকর হওয়ার জন্য কয়েকটি কার্যকর উপায় রয়েছে। তবে এগুলো সুন্দরভাবে সব সময় নিয়মকানন মেনে পালন করতে হবে। মোটা হওয়ার জন্য সবসময় বেশি ক্যালরি খাবার খাবেন এবং পুষ্টিকর খাবার মোটা হওয়ার জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ। পাশাপাশি মিষ্টি খাবার ও পানি ও অনেক জরুরী। বিশেষ করে একটি মানুষের শরীরে যদি ঠিকমতো পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি না পান করে তাহলে সে যতই খাবার খান সে কখনো মোটা হতে পারবে না। 

তাই সবার আগে পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা প্রয়োজন। একটি মানুষের শরীরে অর্থাৎ একজন সুস্থ সবল মানুষের জন্য প্রতিদিন ৬ লিটার পানি পান করা প্রয়োজন। এবং সারাদিনে আপনার পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম পারা প্রয়োজন। একজন মানুষ যদি ঠিকমতো ঘুম না পারে তার শরীরে মোটা হওয়ার আশঙ্কা খুব কম থাকে। তাই মোটা হওয়ার জন্য সময়মতো ঘুম পাড়া খুবই প্রয়োজন। আবার খাবার খাওয়ার পরে বিশ্রামের যেমন প্রয়োজন ঠিক তেমনি ব্যায়াম করা প্রয়োজন বিশেষ করে ভারি ব্যায়াম করা। এতে আপনার মাংসপেশী বৃদ্ধি করার জন্য শরীরকে তৈরি করা হয়। 

ব্যায়াম করার ফলে মাংসপেশী বৃদ্ধি হয় এবং মোটা হওয়ার জন্য আপনার শরীরকে সাহায্য করে। যত ব্যায়াম করবেন আস্তে আস্তে আপনার খাবারের প্রতি তত আকর্ষণ বাড়বে তাই শরীর মোটা করার জন্য পরিশ্রম করার কোন বিকল্প নেই বিশেষ করে ব্যায়াম করতে হবে অনেক। ভালোভাবে ঘুম যেমন শরীরকে পুনর্নির্মাণে সহায়তা করে এবং শরীরের শক্তি ও হরমোন নিয়ন্ত্রণে অনেক সাহায্য করে। এই পরামর্শ গুলো আপনি যদি ঠিকমতো অনুসরণ করেন তাহলে আপনি খুব সহজেই মোটা হতে পারবেন।

তবে কোন স্বাস্থ্য সমস্যা থাকলে আপনার ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া খুবই প্রয়োজন। বর্তমানে মানুষ মোটা হওয়ার থেকে শরীরকে চিকন করার জন্য অনেক বেশি প্রবণতা বেড়ে গেছে মানুষের। আমাদের এখন খাবারে অনেক ভেজাল থাকার কারণে মানুষ সহজে চাইলেও মোটা হতে পারছে না তাই আপনাদের মোটা হওয়ার জন্য সব সময় দেখে শুনে খাবার খাওয়া প্রয়োজন। শরীরে যদি পুষ্টিকর খাবার না দেওয়া হয় তাহলে আমাদের অনেক রোগ এর সম্মুখীন হতে হয়। 

তাই শরীরকে ঠিক রাখতে পুষ্টিকর ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়া অনেক গুরুত্বপূর্ণ। শরীরকে সুস্থ রাখতে ও খুব সহজে মোটা হওয়ার সবথেকে ভালো উপায় গুলো জানতে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। নিচে মোটা হওয়ার আরো উপায়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে।

ওজন বাড়ানোর আগে সর্তকতা জেনে নিন 

ওজন বাড়ানোর আগে আপনার প্রয়োজন সবগুলো সতর্কতা অবলম্বন করা। কারণ সতর্কতা অবলম্বন না করে খাবার খেলে শরীরের পক্ষে অনেক ক্ষতিকর হতে পারে। বর্তমানে অনেকেই সতর্কতা অবলম্বন না করে খাবার খাবার কারণে তার শরীরে অনেক রোগের লক্ষণ দেখা দেয়। আপনি যদি ওজন না বলার কারণে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকেন তাহলে আপনার জন্য আমাদের এই আর্টিকেলটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। নিচে আর ও জন্য আবার আর সর্তকতা সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে।

বেশি ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়াঃ
আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্যালরি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কারণ ক্যালোরি ছাড়া শরীর মোটা করা অসম্ভব। কম ক্যালরিযুক্ত খাবার খেলে শরীর অনেক দুর্বল হয়ে পড়ে। এবং শরীরে অনেক রোগ হতে পারে তাই কম কালার যুক্ত খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। কম ক্যালরিটা খাবার যেমন চরবিহীন প্রোটিন খাবার এবং শাকসবজির বদলে বেশি বেশি কেন যে একটু গোটা শস্য জাতীয় ও স্বাস্থ্যকর যেগুলো চর্বি জাতীয় খাদ্য রয়েছে সেগুলো গ্রহণ করতে হবে। এছাড়াও শাকসবজির সাথে সব সময় আলু রাখার চেষ্টা করবেন কারণ আলোতে অনেক ক্যালরি রয়েছে। 

এবং ফলের মধ্যে সব সময় যেগুলো আপনার শরীরকে ঠিক রাখবে এবং পরিপূর্ণ ক্যালোরি দিবে সেগুলো হলো পাকা কলা, খেজুর, আখরোট, কিসমিস বাদাম ইত্যাদি এ সকল ক্যালরিযুক্ত খাবার সব সময় খাওয়ার চেষ্টা করবেন। তেল জাতীয় খাবার খাওয়া থেকে মাঝে মাঝে নিজেকে বিরত রাখবেন। তেলের বদলে মাঝে মাঝে আপনার শরীরের জন্য মাখন ও ঘি ইত্যাদি জাতীয় খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন। কারণ ঘি এবং মাখন আপনার শরীরের জন্য অনেক স্বাস্থ্যকর একটি খাবার এবং এতে অনেক বেশি পরিমাণ ক্যালোরি থাকে।

কম প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়াঃ
আমাদের শরীরের জন্য যেমন ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়া প্রয়োজন ঠিক তেমনি আমাদের শরীরের জন্য প্রোটিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রোটিন জাতীয় খাবার না খাওয়ার কারণে আমাদের শরীর অনেক দুর্বল হয়ে যায় ও আমাদের ওজন কমতে শুরু করে। তাই মোটা হওয়ার জন্য প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া খুবই প্রয়োজন। মোটা হওয়ার সবথেকে ভালো উপায় প্রোটিন জাতীয় খাবার খাওয়া খুবই গুরুত্বপূর্ণ। কিছু কিছু প্রোটিন জাতীয় খাবার রয়েছে যা বিশেষভাবে তৈরি করে খাওয়া যায়। যেমন বিভিন্ন রকম বাদাম রয়েছে ও দুধ দিয়ে তৈরি মিল্ক সুস্থ হয়েছে এগুলো আপনারা তৈরি করে খেতে পারেন এতে আপনার শরীরের প্রোটিনের ঘাটতি কমবে। 

আরো রয়েছে দুধ ও ডিমের তৈরি পুডিং, ও বিভিন্ন ধরনের বাদাম ও চিকেনের তৈরি সালাদ ইত্যাদি এইসব প্রোটিন জাতীয় খাদ্য আমাদের শরীরের জন্য অনেক প্রয়োজন। বিভিন্ন রকম মাছ, মাংস এবং কয়েক ধরনের ডাল জাতীয় খাদ্য রয়েছে যা মিশিয়ে রান্না করলে অনেক প্রোটিন পাওয়া যায। এতক্ষণে আপনারা বুঝতে পেরেছেন আপনাদের শরীরের জন্য প্রোটিন জাতীয় খাদ্য কতটা ভূমিকা রাখে। তাই আশা করি এখন থেকে আপনার শরীরকে মোটা রাখতে প্রোটিন জাতীয় খাদ্য খাবেন।

অনিয়ম করে পানি পান করার কারণেঃ
আমরা সাধারণত আমাদের শরীরের পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান না করে থাকার কারণে আমাদের শরীর সতেজ ও মোটা হয় না। তাই সারাদিনে ঘন ঘন করে পানি পান করা প্রয়োজন। তবে পানি খাওয়ারও কিছু নিয়ম রয়েছে যেমন খাবার খাওয়ার আগে অনেক বেশি পরিমাণ পানি না খাওয়া। খাবার খাওয়ার আগে বেশি পরিমাণ পানি খাওয়ার কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণ খাওয়ার আপনি খেতে পারবেন না খাবার খাওয়ার পরে আপনি আপনার পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি অধিক পরিমাণ পান করতে পারবেন। অতএব বলা যায় আমাদের শরীরের মোটা না হওয়ার কারণে সময়মতো এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না পারার কারণেঃ
আমাদের শরীর মোটা না হওয়ার পিছনে ঘুমের ঘাটতি রয়েছে। একজন মানুষ যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার খাওয়ার পরেও সময়মতো বিশ্রাম না নেয় তাহলে তার শরীরে পুষ্টিহীনতায় ভুগতে পারে। তাই আমাদের প্রয়োজন শরীরের ঘুমের দিকে বেশি বেশি নজর দেওয়া। একজন সুস্থ সবল মানুষের দৈনিক ৬ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন ও ওজন বাড়ানোর জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

খাবারে অমনোযোগী হওয়ার কারণেঃ
আমরা সাধারণত সব সময় খাবার বেছে বেছে খেয়ে থাকি। কিন্তু আমাদের শরীরের জন্য সব খাবারই অনেক ভূমিকা পালন করে। অতএব খাবার খাওয়ার সময় সামনে যে খাবারই আসুক না কেন নিশ্চিন্তে খুশি হয়ে সে খাবার গ্রহণ করা উচিত। এই সকল মেনে চলার পরেও যদি আপনার শরীরের ওজন বৃদ্ধি না হয় তাহলে আপনার খুব তাড়াতাড়ি একজন পুষ্টিবিদের সাথে যোগাযোগ করা প্রয়োজন।

পরিশেষে বলা যায় ওজন বাড়ানোর আগে সতর্কতা মেনে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এবং সব সময় সব খাবারে খেয়াল রাখা উচিত এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার খাওয়া উচিত খাবারে অমনোযোগ থেকে বিরত থাকা উচিত। আমাদের সবারই দায়িত্ব খাবার খাওয়ার আগে সেই খাবারটি তে কতটুকু প্রোটিন থাকতে পারে সে সম্পর্কে জ্ঞান রাখা।

ওজন বাড়ানোর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়

ওজন বাড়ানোর জন্য আমাদের সব সময় খাবারের প্রতি মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন। বিশেষ করে দুই জাতীয় খাবার বেশি খাওয়া এতে পানির পরিমাণও পুষ্টির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে। এবং স্বাস্থ্যকর চর্বিযুক্ত খাবার ও খাওয়া আমাদের শরীরের জন্য অনেক প্রয়োজনীয়। ওজন বাড়ানোর কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ উপায় সম্পর্কে নিছে বিস্তারিত বলা হলোঃ

১. সকালের নাস্তা করার নিয়মঃ
ওজন বাড়ানোর জন্য সকালের নাস্তা করা খুবই প্রয়োজন। সকালের নাস্তা যে সকল খাবার রাখা প্রয়োজন সেগুলো হলো দুধ কলা ডিম খেজুর ইত্যাদি সকালের নাস্তায় থাকা খুবই জরুরী। এতে আপনার সকালে যেটুকু প্রোটিন ও ক্যালরি শরীরের প্রয়োজন তা পরিপূর্ণ হবে।

দুধ পান করাঃ
আমাদের শরীরের প্রায় সব ধরনের পুষ্টি দুধের মধ্যে পাওয়া যায়। তাই দুধ পান কর আমাদের শরীরের জন্য অনেক প্রয়োজন। দুধে অনেক প্রোটিন ও ক্যালরি রয়েছে যা আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে ও মোটা হতে সাহায্য করে। দ্রুত সাধারণত অনেক পরিমাণ ক্যালসিয়াম এবং ভিটামিন বি ১২ রয়েছে। ক্যালসিয়াম সাধারণত শরীরের হাড় ও দাঁত মজবুত রাখার কাজ করে আর ভিটামিন বি সাধারণত রক্ত তৈরিতে ও রক্তশূন্যতা প্রতিরোধে কাজ করে থাকে। তাই দুধ পান করা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী একটি খাদ্য। আবার অনেক সাহায্য করে দুধ খাওয়ার একটি বড় সুবিধা অন্যান্য খাবারের সাথে খুব সহজেই এক গ্লাস দুধ খেয়ে নেয়া যায়।

পাকা কলাঃ
কলাও আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী কলার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন বি-৬ আমাদের শরীরকে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। এছাড়াও কলাতে যথেষ্ট পরিমাণ রয়েছে ফাইবার যা আমাদের হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে এবং হার্টের রোগের ঝুঁকি কমানোর কাজে সাহায্য করে।

ডিমঃ
ডিম একটি আদর্শ খাবার শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য। ডিমকে সাধারণত প্রকৃতির মাল্টিভিটামিন বলা হয়। এর কারণ হলো ডিমের মধ্যে অনেক ভিটামিন ও মিনারেল রয়েছে। ডিমের ভিটামিন এ থাকার কারণে আমাদের চোখের গতি বাড়াতে অনেক সাহায্য করে এবং এবং ভিটামিন বি২ থাকার কারণে আমাদের ত্বককে অনেক সুস্থ সুন্দর রাখে।
মোটা-হওয়ার-সবথেকে-ভালো-উপায়
খেজুরঃ
খেজুর একটি পুষ্টিকর খাবার; এতে ক্যালসিয়াম ও ম্যাগনেসিয়াম রয়েছে যা আমাদের দাঁত ও হাড়ের স্বাস্থ্য অনেক ভালো রাখে। এছাড়াও এতে অনেক আয়রন রয়েছে ও ফলিক এসিড রয়েছে যা আমাদের রক্ত তৈরিতে অনেক সাহায্য করে। সুতরাং খেজুর আমাদের শরীরের জন্য অনেক প্রয়োজন একটি খাবার।

দুপুরের খাবারঃ
দুপুরের খাবারে আমরা সাধারণত ভাত খেয়ে থাকি। কারণ আমাদের দুপুরে অনেক ভারী খাবার খাওয়া প্রয়োজন। তবে দুপুরের খাবারে আমাদের দেশের খাবার খাওয়া উচিত এবং যেসব খাবার আমাদের পুষ্টি দেয় তা হল ডাল। ডাল খুবই পুষ্টিকর খাবার। এতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে মুরগি ও গরু বা খাসির মাংস যেমন আমাদের প্রোটিন দিয়ে থাকে তবে ডালো আমাদের শরীরে প্রোটিন দিয়ে থাকে তাই দুপুরের খাবারের সাথে ডাল খাওয়া প্রয়োজন। আমাদের পেটের ভিতরে সাধারণত অনেক জীবাণু থাকে এর মধ্যে কিছু জীবাণু আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এই জীবাণুগুলো সুস্থ ভাবে বাঁচিয়ে রাখার জন্য আমাদের কিছু খাবার অনেক সাহায্য করে। এই খাবারগুলোকে বলা হয় প্রিবায়োটি খাবার।

রাতের খাবারঃ
সাধারণত হালকা খাবার খাওয়া প্রয়োজন। তবে দুপুরে যেসব খাবার আমরা খেয়ে থাকি সেই সব খবরও আমরা রাতে খেতে পারি। কারণ রাতে আমরা খাবার খাওয়ার পরে ঘুমিয়ে পরি এতে আমাদের খাবারে যদি পুষ্টির পরিমাণ বেশি থাকে তাতে আমাদের শরীরে মাংসপেশী বাড়তে অনেক সাহায্য করে। তবে রাতে ঘুমানোর আগে অবশ্যই তরল খাবার অর্থাৎ এক গ্লাস দুধ খেয়ে ঘুমালে আমাদের ঘুম অনেক ভালো হয়।

ইসলামিক ভাবে দ্রুত মোটা হওয়ার উপায়

আমাদের ইসলাম ধর্ম শরীর স্বাস্থ্য ও সুস্থ জীবন যাপন করার প্রতি বেশি গুরুত্ব দিয়েছে। কারণ শরীর স্বাস্থ্য আল্লাহর দেওয়া একটি আমানত এবং আমাদের যথারীতি দায়িত্ব হল আল্লাহর দয়ায় আমানত যত্ন সহকারে রাখা। আজকের আলোচনায় আমরা সাধারণত ইসলামিক দৃষ্টিকোণ থেকে সুস্থ হয়ে মোটা হওয়ার বিভিন্ন পদ্ধতি সম্পর্কে বিস্তারিত নিয়ে আলোচনা করব। ইসলামের শরীরের যত্ন নেওয়া একটি ধর্মীয় দায়িত্ব হিসেবে বিবেচিত রয়েছে। 

কুরআন ও হাদিসে শরীরের উপর যত্ন নেওয়ার ওপর অনেক জোর দেওয়া হয়েছে। হযরত মুহাম্মদ (সা.) বলেছেন তোমার শরীরের উপর তোমার পর্যাপ্ত পরিমাণ অধিকার রয়েছে। এর অর্থ হল আমাদের শরীরকে সুস্থ এবং শক্তিশালী রাখার জন্য যথেষ্ট যত্ন নিতে হবে আমাদের। ইসলামে খাদ্য সম্পর্কে বিশেষ গুরুত্ব দেয়া হয়েছে। কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেছেন তোমরা যা পবিত্র এবং ভালো সেটি খাও। এই আয়াত থেকে বোঝা যায় যে ইসলামে শুধু হালাল খাবার নয় সৃষ্টিকর খাবার এবং স্বাস্থ্যকর খাবার খেতে বলেছে। 

ইসলাম আমাদেরকে আমাদের পছন্দ অনুযায়ী হালাল খাবার গুলো খেতে বলেছেন। এবং আমাদের শরীরের ভালোর জন্য বিশ্রামের সময় এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের সাথে খাবারের কথা বলা হয়েছে। তবে আপনি যদি দ্রুত মোটা হতে চান তাহলে আমাদের ইসলাম বলে তোমরা তোমাদের শরীরের যত্ন নেওয়ার জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ খাবার খেতে পারো। তবে ইসলাম আমাদেরকে অনেক বেশি খেজুর খাওয়ার কথা ভুলে গেছেন কারণ খেজুরে অনেক বেশি পরিমাণ ক্যালসিয়াম, ক্যালরি, ও প্রোটিন রয়েছে।

মোটা হতে চাইলে যেসব খাবার খাওয়া প্রয়োজন

মোটা হতে চাইলে তোমাদের যেসব খাবার খাওয়া প্রয়োজন তাহলে পুষ্টিকর খাবার এবং ক্যালরিযুক্ত খাবার খাওয়া। এতক্ষণে হয়তো বুঝতে পেরেছেন আপনাদের কোন সমস্ত ক্যালরিযুক্ত পুষ্টিকর খাবার খাওয়া প্রয়োজন। আপনাদের সবসময় পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার উপরে থাকতে হবে এবং যেসব খাবারে অনেক প্রোটিন থাকে এইসব খাবারও খেতে হবে তাহলে আপনি অতি সহজে মোটা হতে পারবেন। মোটা হওয়ার জন্য প্রোটিন জাতীয় খাবার যেমন দুধ,কলা,ডিম, মাছ, মাংস, সবজি জাতীয় সমস্ত খাবার খাওয়া প্রয়োজন। 

বিশেষ করে আমাদের শরীরের জন্য শাকসবজি বেশি ভূমিকা পালন করে। অতএব মোটা হওয়ার জন্য আপনাদের প্রয়োজন সুস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া এবং খাবারের লিস্ট তৈরি করে সময় মত খাবার খাওয়া। অসময়ে যত ভালো খাবার খান না কেন সেটির শরীরের জন্য উপকারী হবে না। অতএব সবসময় খাবারের জন্য সময় মত খাবার খাওয়া উচিত। আপনি যদি মোটা হতে চান তাহলে সব সময় আপনাকে মাথায় রাখতে হবে সমস্ত খাবারে বেশি পরিমাণ পুষ্টি থাকে। 

মোটা হওয়ার জন্য কোন নির্দিষ্ট খাবারের কথা বলা হয়নি কারণ সমস্ত খাবারেই কিছু না কিছু প্রোটিন বা ক্যালোরি বা ভিটামিন থাকেই তাই সব খাবারই খাওয়া উচিত। এতে আপনি খুব সহজেই মোটা হতে পারবেন। মোট হওয়ার সবথেকে ভালো উপায় গুলোর মধ্যে শাকসবজি খাওয়াটা সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমি সব সবজি আমাদের শরীরের জন্য উপকারী এবং প্রাকৃতিক কিছুই আমাদের শরীরকে বেশি পরিমাণ পুষ্টি পূরণ করতে পারে। এখন বর্তমানে সব খাবারের ভেজাল থাকার কারণে আমাদের সবসময় সতর্ক থাকতে হবে এবং পুষ্টিকর খাবার খেতে হবে।

মোটা হতে চাইলে যেসব খাবার এড়িয়ে চলতে হবে

মোটা হতে চাইলে আমাদের সাধারণত অনেক খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। এমন অনেক খাবার রয়েছে যা আমাদের শরীরের পক্ষে অনেক ক্ষতিকর। আমাদের শরীরকে মোটা করতে বাধা সৃষ্টি করে। যেমন অনেক চিনি জাতীয় খাবার আমাদের শরীরে অনেক বেশি ফ্যাট তৈরি করে। বা চর্বি জাতীয় খাবার আমাদের এড়িয়ে চলা উচিত। এই খাবারগুলো খেলে আমাদের শরীরে অনেক ক্ষতি হতে পারে এগুলো খেলে আমাদের শরীরে মাংস পেশি না বেড়ে অনেক চর্বি বেড়ে যায়। 

আর শুধু যদি চর্বিবারে তাহলে এটি আমাদের স্বাস্থ্যকর ওজন বারা হবে না বরং উল্টো বিভিন্ন ধরনের রোগের ঝুঁকি হতে পারে। তবে মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়া যাবেনা এটা না। অল্প পরিমাণ মিষ্টি দই শরীরের জন্য উপকারী। তাই ওজন বাড়ানোর জন্য এই সকল খাদ্য সব সময় এরিয়া চলতে হবে। যেন এ সকল খাদ্য খাওয়ার মাধ্যমে আমাদের শরীরে কোন প্রকার রোগ জীবাণ না বাসা বাধতে পারে। তাই সব সময় খাবার খাওয়ার সময় বিবেচনা করে সতর্কতা অবলম্বন করে খাবার খাওয়া খুবই প্রয়োজনীয়। 

সুতরাং মোটা হওয়ার সবচেয়ে ভালো উপায় জানার আগে আপনাদের মোটা হতে চাইলে যে সব খাবার এড়িয়ে চলতে হবে সেগুলো জানা খুবই প্রয়োজন। মোটা হওয়ার জন্য কখনো কোন ঔষধের সাহায্য না নেওয়ায় ভালো। কোন ভিটামিন জাতীয় ঔষধ সেবন করার আগে সব সময় ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে তারপরে সেবন করা প্রয়োজন। পিজা ও বার্গার বা কেক পেস্ট্রি জাতীয় খাবার অনেকে ওজন বাড়ানোর জন্য কার্যকর ভেবে থাকেন কিন্তু তা না এগুলো শরীরের জন্য অনেক ক্ষতিকর।

মোটা হওয়ার ঘরোয়া উপায় কোনগুলো

আমরা সাধারণত মোটা হওয়ার জন্য বাইরের খাবার বেশি খেয়ে থাকি। কিন্তু আমাদের শরীরের জন্য বাইরের খাবার বেশি ক্ষতিকর হয়ে থাকে। প্রতিদিন যদি আমরা সকালে ঘরোয়া টেকনিকে খাবার খাই বা মোটা হওয়ার জন্য কিছু নিয়ম কারণ মানে তাহলে আমরা খুব তাড়াতাড়ি ঘরোয়া উপায় মোটা হতে পারবো। প্রতিদিন সকালে মূলত কাঁচা কলার সাথে দুধ জাতীয় খাবার খাওয়ার কারণে আমাদের শরীরে ওজন বাড়তে পারে। ঘি ও চিনি একসাথে মিশিয়ে সকালে খেলে আমাদের শরীরের ওজন বাড়বে।

এছাড়াও আরো রয়েছে কিসমিস,বাদা্‌ম,খেজুর এগুলো ভিজিয়ে খেলে শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে এবং শরীরকে সুস্থ সবল রাখতে সাহায্য করে। আপনার যদি ঠিক এইভাবে প্রতিনিয়ত ঘরোয়া টেকনিকে খাবার খেয়ে থাকেন তাহলে আপনাদের মোটা হওয়া সম্ভব। ঘরের খাবার খেলে খুব তাড়াতাড়ি মানুষ মোটা হতে পারবে। কারণ ঘরের খাবারের যে পরিমাণ পুষ্টি থাকে এবং ভেজালমুক্ত থাকে বাইরের খামারে সেগুলো থাকে না। 

বাইরের খাবার খেলে অনেক সময় মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং শরীরে অনেক রোগ ব্যাধি হয়ে থাকে। তাই বাইরের খাবার থেকে বিরত থাকাই ভালো। ঘরোয়া ঘরোয়া নিয়মে আপনারা যদি পুষ্টিকর খাবার গুলো বানিয়ে খান তাহলে আপনারা অতি সহজে মোটা হতে পারবেন। তাই মোটা হওয়ার সবথেকে ভালো উপায় গুলোর মধ্যে ঘরোয়া উপায় হলো অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপায়।

মোটা হওয়ার শারীরিক ব্যায়ামের তালিকা

আপনি যদি সত্যিই মোটা হতে চান তাহলে শুধু পুষ্টিকর খাদ্য খেলে হবে না। খাবার খাওয়ার পাশাপাশি আপনার শরীরের জন্য প্রয়োজন ব্যায়াম করা। কারণ ব্যায়াম শরীরের আকৃতি সুন্দর করে এবং শরীরকে মজবুত করতে সাহায্য করে। শরীরে মাংসপেশি বৃদ্ধি করে এবং চর্বি কমায় এতে আপনার শরীর অতি তাড়াতাড়ি মোটা হবে এবং মজবুত হবে। তাই মোটা হওয়ার ক্ষেত্রে ব্যায়াম করা শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। দ্রুত মোটা হওয়ার জন্য ব্যায়াম করা জরুরী নিচে কয়েকটি ব্যায়ামের তালিকা দেওয়া হলোঃ

১. কৃত্রিম উপায়ে ব্যায়ামঃ
মূলত কৃত্রিম উপায় দ্বারা ব্যায়ামাগারের যন্ত্রপাতি কে বোঝানো হয়েছে। যেমন টুইস্টার, বাটারফ্লাই,স্টে পা ইত্যাদি দিয়ে ব্যায়াম করা যায়। তবে এটা যার যার নিজস্ব ব্যাপার কেউ ব্যায়ামাগার গিয়ে ব্যায়াম করে কেউ বাড়িতে সরঞ্জাম দিয়ে ব্যায়াম করে। যেখানেই ব্যায়াম করুন ব্যায়াম করার পরে কোন প্রকার ব্যথার ওষুধ খাবেন না। এবং যে আমি করুন না কেন ধৈর্য সহকারে করবেন।

২. যোগাসন ব্যায়ামঃ
যোগাসন এর সম্পর্কে যতই বলা যাবে তত কম বলা হবে। যোগাসন এমন একটি ব্যায়াম যার মাধ্যমে আপনার শরীর মোটা হবে ও আপনার পেটের চর্বি আস্তে আস্তে কমে যাবে। তাই যোগাসন ব্যায়ামের গুরুত্ব সব কিছুতেই অনেক বেশি।

৩. সাইক্লিন করাঃ
সাইক্লিন খুব জোরে করা যাবে না কারণ সাইক্লিন খুব জোরে করলে আপনার অনেক ঘাম ঝরবে তাই আস্তে আস্তে করতে হবে। যেন আপনার শরীর থেকে বেশি ঘাম বের না হয়ে যায় শুধু যেটুকু চর্বি রয়েছে সেটার জন্য যতটুকু ঘাম ঝরানো প্রয়োজন ততটুকুই ঝরে। সাইক্লিন করলে জাং/উরু মোটা হয়।

৪. ফিট টাচ, স্কোয়াডঃ
এই ব্যায়ামগুলো খুব কম সংখ্যক বার দিতে হবে কারণ এই ব্যায়াম দ্বারা অনেক ঘাম ঝরে তাই অল্প করে দিতে হবে। এবং ব্যায়ামের মাঝামাঝি রেস্ট নিতে হবে তাহলে আপনি আস্তে আস্তে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ার মাধ্যমে এবং ব্যায়ামের মাধ্যমে মোটা হতে পারবেন।

মোটা হওয়ার জন্য ব্যায়ামের গুলো করা অনেক জরুরী। অনেকে আছে যারা শুধু খাবার খায় কিন্তু মোটা হয় না এর কারণ হলো ব্যায়াম করা তারা নিয়মিত ব্যায়াম করে না। নিয়মিত ব্যায়াম একটা মানুষকে শারীরিক ও মানসিক দিক থেকে সবল রাখে। তাই মোটা হওয়ার সবথেকে ভালো উপায় এর মধ্যে ব্যায়াম ও একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়। তাই শরীর সুস্থ রাখতে ও আপনার শরীরকে মোটা করতে নিয়মিত ব্যায়াম করুন।

আপনার উচ্চতা অনুযায়ী ওজন কত হওয়া উচিত জানুন

একজন মানুষের শরীরের উচ্চতা অনুযায়ী ওজন ঠিক থাকা জরুরী না হলে পরবর্তীতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। একজন ছেলের যতটুকু উচ্চতা ও একজন মেয়ের যতটুকু উচ্চতা সেই ক্ষেত্রে একটি ওজন রয়েছে। অতএব নিচে ছেলেদের ও মেয়েদের উচ্চতার অনুযায়ী ওজনের তালিকা দেওয়া হলোঃ
উচ্চতা ছেলেদের ওজন মেয়েদের ওজন
৪ ফুট ৮ ইঞ্চি ৩৩-৪০ কেজি ৩২-৪০ কেজি
৪ ফুট ৯ ইঞ্চি ৩৫-৪৪ কেজি ৩৫-৪২ কেজি
৪ ফুট ১০ ইঞ্চি ৩৮-৪৬ কেজি ৩৬-৪৫ কেজি
৪ ফুট ১১ ইঞ্চি ৪০-৫০ কেজি ৩৯-৪৭ কেজি
৫ ফুট ৪৩-৫৩ কেজি ৪০-৫০ কেজি
৫ ফুট ১ ইঞ্চি ৪৫-৫৫ কেজি ৪৩-৫২ কেজি
৫ ফুট ২ ইঞ্চি ৪৮-৫৯ কেজি ৪৫-৫৫ কেজি
৫ ফুট ৩ ইঞ্চি ৫০-৬১ কেজি ৪৭-৫৭ কেজি
৫ ফুট ৪ ইঞ্চি ৫৩-৬৫ কেজি ৪৯-৬০ কেজি
৫ ফুট ৫ ইঞ্চি ৫৫-৬৮ কেজি ৫১-৬২ কেজি
৫ ফুট ৬ ইঞ্চি ৫৮-৭০ কেজি ৫৩-৬৫ কেজি
৫ ফুট ৭ ইঞ্চি ৬০-৭৪ কেজি ৫৫-৬৭ কেজি
৫ ফুট ৮ ইঞ্চি ৬৩-৭৬ কেজি ৫৭-৭০ কেজি
৫ ফুট ৯ ইঞ্চি ৬৫-৮০ কেজি ৫৯-৭২ কেজি
৫ ফুট ১০ ইঞ্চি ৬৭-৮৩ কেজি ৬১-৭৫ কেজি
৫ ফুট ১ ইঞ্চি ৭০-৮৫ কেজি ৬৩-৭৭ কেজি
৬ ফুট ৭২-৮৯ কেজি ৬৫-৮০ কেজি

মোটা হওয়ার ডাক্তারি পরামর্শ ও ঔষধ সম্পর্কে জানুন

ওজন কম বা শারীরিক অবস্থা খারাপ অনেকের জন্যই একটি বড় সমস্যা। এটি শুধু বাইরের সমস্যার কারণ হতে পারে না ওজন কম এটি ভিতরেও অনেক সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে। যদি পুষ্টিহীনতার কারণে আপনি মোটা না হন তাহলে পুষ্টি সম্পূর্ণ ও ক্যালোরি সম্পন্ন খাবার খান এবং আমাকে ব্যায়াম করুন। মোটা হওয়ার জন্য ডাক্তাররা পরামর্শ দেন প্রথমে আপনি ঘরোয়া মোটা হওয়ার চেষ্টা করুন তাতেও যদি কাজ না হয় তাহলে কোন ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে মোটা হওয়ার জন্য প্রাকৃতিক ওষুধ খান। 
মোটা-হওয়ার-সবথেকে-ভালো-উপায়
বর্তমানে ওজন বাড়ানোর জন্য বাজারে অংশ বের হয়েছে এর মধ্যে রাসায়নিক ঔষধও পাওয়া যাই। এগুলো কিছুদিন ব্যবহার করার পরে শরীর ফুলে যায় যেমন গলা ফোলা বা মুখ ফোলা বাঁধ মোটা হয়ে যাওয়া ইত্যাদি। এসব রাসায়নিক ঔষধ বেশিদিন তারপরে কিডনিতে ও লিভারের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এসব রাসায়নিক ঔষধ থেকে বিরত থাকবেন ও স্থায়ীভাবে ওজন বাড়ানোর জন্য কোন প্রাকৃতিক ডাক্তারের পরামর্শ। এবং ওষুধ সেবনের আগে সেই ঔষধটির কোন ব্যাড ইফেক্ট আছে কিনা সেটা সম্পর্কে জেনে নিন। 

যে ওষুধটি রাসায়নিক মুক্ত এবং কোন ব্যাড ইফেক্ট নেই সেই ওষুধটি সেবন করুন এতে আপনি খুব সহজেই মোটা হতে পারবেন। আমাদের এই আর্টিকেলটি পরে এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন আপনাদের কি ধরনের ওষুধ সেবন করা উচিত ও ওষুধ সেবনের আগে কি করা উচিত।

লেখকের মন্তব্যঃ মোটা হওয়ার সবথেকে ভালো উপায়

মোটা হওয়ার সবথেকে ভালো উপায় গুলো সম্পর্কে এতক্ষণে হয়তো আপনারা বুঝতে পেরেছেন। আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার মাধ্যমে আপনি মোটা হওয়ার যতগুলো উপায় রয়েছে তা সম্পর্কে পুরোপুরি জানতে পারবেন। আমার মতে আপনাদের নিয়মিত খাবার খাওয়া উচিত এবং খাবারে পুষ্টিকর খাবার ও ক্যালরিযুক্ত খাবার রাখা উচিত। এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা উচিত আপনাদের এতে আপনাদের শরীর তাড়াতাড়ি মোটা এবং সুস্থ সবল হয়ে উঠবে। 

এবং এতেও যদি আপনাদের শরীর মোটা না হয় তাহলে একটি ভালো ডাক্তারের পরামর্শ নিন এবং একটি ভালো ওষুধ সেবন করুন। পরিশেষে বলা যায় সমস্ত নিয়ম-নীতি মেনে এবং নিয়মিত বিশ্রাম ও খাবার খাওয়ার মাধ্যমে অবশ্যই আপনি মোটা দাদা হয়ে উঠতে পারবেন। আমাদের এই পোস্টটি থেকে আপনি মোটা হওয়ার সবথেকে ভালো উপায় সম্পর্কে যদি জানতে পেরে থাকেন তাহলে অবশ্যই কমেন্টে জানিয়ে যাবেন এবং এই কন্টেন্টের সম্পর্কে আরো কোন তথ্য জানতে কমেন্টে জানান।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পজিশন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url