বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম

বাংলা আর্টিকেল লেখার নিয়ম সমূহ জেনে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের জন্য আর্টিকেল লিখতে পারবেন। আপনি এই আর্টিকেলের মাধ্যমে বিভিন্ন তথ্য ও প্রকাশ করে টাকা ইনকাম করতে পারবেন। সেই ক্ষেত্রে বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম গুলো জানা আপনার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। 
বাংলা-আর্টিকেল-লিখার-নিয়ম
সম্পূর্ণ নিয়ম অনুসারে যদি আপনি আর্টিকেল লিখতে পারেন তবে আপনি একজন সফল আর্টিকেল রাইটার। তাই বাংলা আর্টিকেলে সর্বপ্রথম লিখার নিয়ম জানা প্রয়োজন এই বিষয়ে আমাদের পোস্টে বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে তাই এ পোস্টটি ভালোভাবে মনোযোগ সহকারে পড়বেন।

পোস্ট সূচিপত্রঃ বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম
নিচের যে অংশটি পড়তে চান ক্লিক করুন 

 বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম

বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম জানার আগে আর্টিকেল টা কিভাবে লেখবেন সেটা নিয়ে গবেষণা করা উচিত।  বাংলা আর্টিকেল লেখার পূর্বেই মানুষ ভাবে বাংলা আর্টিকেল হয়তোবা কোন সহজ কিছু। কিন্তু আর্টিকেল লেখা এতটা সহজ বিষয় না। কারণ বাংলা আর্টিকেলে অনেক সুক্ষ সুক্ষ নিয়ম রয়েছে নিয়ম গুলো মেনে অনেক সুন্দর ভাবে অনেক চিন্তাভাবনার মাধ্যমে ও গবেষণার মাধ্যমে গুগলের প্রথম পেজে নিয়ে যেতে হয় অতএব বাংলা আর্টিকেল লেখা অনেক গবেষণার কাজ।

তাই বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম সম্পর্কে ভালোভাবে ধারণা থাকা খুবই জরুরী। বাংলা আর্টিকেলগুলো এমনভাবে সাজাতে হবে যেন ভিজিটর পড়তে আগ্রহী হয় এবং খুবই সুন্দর ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে আর্টিকেলগুলো প্রকাশ করতে হবে। অনেক লেখকরা আর্টিকেলের নিয়ম নীতি না মানার কারণে গুগলে প্রকাশ করার পরেও সেগুলো google এর প্রথম পেজে প্রকাশিত হয় না। বাংলা আর্টিকেল লেখার আগে যে বিষয়ে আর্টিকেলটি লিখবেন সে বিষয়ে ধারণা অর্জন করতে হবে খুবই ভালো ভাবে এবং অন্যদের পোস্ট থেকে রিসার্চ করে মূল বিষয়গুলো বের করে নিজের ভাষায় লিখতে হবে সহজলভ্য করে। 

যেন ভিজিটর তার খুজার জিনিসটা খুবই তাড়াতাড়ি খুঁজে পায় এবং আপনার পোষ্টটি পড়ে তার পর্যাপ্ত পরিমাণ সেই বিষয়ে জ্ঞান অর্জন হয়। অনেক আর্টিকেল রাইটার আছে তারা তাদের পোস্টে মূল তথ্যগুলো না দিয়ে অন্য কিছু সাজিয়ে লেখে কিন্তু এতে ভিজিটর বিরক্ত হতে পারে তাতে আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর কমে যাবে। অতএব পরিশেষে বলা যায় আপনার আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে গবেষণা ও পরিশ্রমের প্রয়োজন এতে ধীরে ধীরে আপনার আর্টিকেল লেখার প্রতি দক্ষতা বাড়বে। 

আর্টিকেল লেখার নিয়ম গুলো খুবই ভালো হবে জেনে নিয়ে আর্টিকেল লিখতে হবে এবং আর্টিকেল লেখার নিয়ম নীতি জানার গুরুত্ব অনেক। আপনারা সবাই আশা করি আর্টিকেলের নিয়মগুলো মেনে আর্টিকেল লিখবেন এবং আপনার আর্টিকেলটি আকর্ষণীয় করে তুলবেন। আর্টিকেলের আরো বিষয় সম্পর্কে জানতে আমাদের পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়তে থাকুন। 

আর্টিকেল রাইটিং কি?

কোনো বিষয়বস্তু নির্ধারণ সেই সম্পর্কে নিয়ম কানন মেনে সাজিয়ে গুছিয়ে পোস্ট আকার লেখার কার্যক্রম সম্পাদন করার নামই আর্টিকেল রাইটিং। সেটা হতে পারে আপনার ওয়েবসাইটে ব্লক প্রকাশের উদ্দেশ্যে কিংবা অন্যের ওয়েবসাইটে আর্টিকেল লিখার মাধ্যমে টাকা ইনকাম করা। আর্টিকেল মূলত লেখা ব্যাপক সংখ্যার অডিয়েন্সের প্রয়োজনীয়তা জানার বা শিক্ষা অর্জনের উদ্দেশ্যে। তাই অতি সহজ ভাষায় অর্থাৎ নিজের ভাষায় আর্টিকেল লেখা যেন অডিয়েন্স পোস্টটি পরে বুঝতে পারে। 

সুতরাং বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম জানার আগে আপনাদের আর্টিকেল রাইটিং কি সেটা প্রথমে জানা উচিত এবং আরো বিষয় তো নিচে উল্লেখ করা হল এতে আপনাদের আর্টিকেল রাইটিং সম্বন্ধে জানতে সাহায্য করবে।

কোনো আর্টিকেল লিখার ক্ষেত্রে প্রথম ধাপ কি কি ?

আর্টিকেল ক্ষার পূর্বে আপনার বিষয়বস্তু বা কনটেন্টটি কি ধরনের সেটা বাসায় জী এবং এর টাইটেলটি নির্ধারণ করা বেশি গুরুত্বপূর্ণ এর সাহায্য আপনার পোস্টটি যেন পাঠক খুব তাড়াতাড়ি খুঁজে পায় তার প্রয়োজনে এবং পোস্টটি সার্চ ইঞ্জিনে প্রথমে পাওয়া যায়। এর জন্য প্রয়োজন বিষয় বস্তুটি সিলেক্ট করে সেটা বেশি বেশি গবেষণা বা রিসার্চ করা অধ্যায়ন করা অন্যের ব্লগে কোন ভাষায় কিভাবে পোস্ট করা হয়েছে অধ্যায়ন। কারণ আপনার আর্টিকেলটি সার্চ ইঞ্জিনে নিয়ে আসতে হলে অন্যদের ওয়েবসাইটের ব্লক পোস্ট থেকে ধারণা নিয়ে নিজের ভাষায় সুন্দর ভাবে পোস্টটি সাজানো।

আপনি যত পোস্ট করবেন ওনার ধারণা,জ্ঞান, অভিজ্ঞতা বাড়বে আর্টিকেল রাইটিং সম্পর্কে। সুতরাং আর্টিকেল রাইটিং এর প্রথম ধাপ হলো বিষয়বস্তু নির্ধারণ করে সেই বিষয়ে বেশি পোস্ট পড়া অধ্যায়ন করা এবং সেই টপিকে অডিয়েন্সদের নতুন কিছু পৌঁছে দেওয়ার চিন্তাভাবনা করা এবং তাদের প্রয়োজনীয় জ্ঞান অর্জনের বিষয়বস্তু রাইটিং এর মধ্যে রাখা।

কিভাবে সঠিক কিওয়ার্ড নির্বাচন করবেন?

প্রথমেই কিওয়ার্ড নির্বাচন করার আগে আপনাদের হবে আপনি যে কিওয়ার্ড টি নির্বাচন করছেন সেটি মানুষের কাছে সার্চ ইঞ্জিনে খোঁজার প্রবণতা কতটুকু। এবং সঠিক কীওয়ার্ড ভাষণ করার মাধ্যমে আপনার কীওয়ারটি সার্চ ইঞ্জিনে শিশে নিয়ে যেতে পারবে কিনা। তাই সঠিক কিওয়ার্ড নির্বাচন করা প্রয়োজনীয়। যেই কিওয়ার্ড টি আপনি নির্বাচন করবেন সেটি আর্টিকেলের মূল বিষয়বস্তুকে তুলে ধরা জরুরী। 

আপনার আর্টিকেলের বিষয়বস্তুর সাথে মিল রেখে কিওয়ার্ড বাসায় না করলে মানুষ সেটা খুঁজে পাবেনা। তাই বলা যায় সার্চ ইঞ্জিনের শিশে যাবার জন্য প্রয়োজন একটি সঠিক কিওয়ার্ড নির্বাচন করা। সুতরাং বলা যায় বাংলা আর্টিকেল লিখার ক্ষেত্রে অনেক গবেষণা করে কিওয়ার্ড বাছাই করা উচিত। পরিশেষে বলা যায় একটি আকর্ষণীয় টাইটেল নির্বাচন করতে হবে টাইটেলটি এমন হতে হবে যেন পাঠক ক্লিক করতে আগ্রহ হয়।

আর্টিকেলে ভূমিকা সম্পাদন

ভূমিকা বলতে আমরা বুঝি কোন কিছু লেখার শুরুতে তার সম্পর্কে স্বল্প শব্দে কনটেন্টের সারমর্ম ও সারাংশ তুলে ধরা। অবশ্যই ভূমিকা ৫ থেকে ১০ লাইনের বেশি লিখা যাবেনা। কারণ পাঠক সর্বপ্রথম ভূমিকা পড়বে যদি ভূমিকা পড়ে আগ্রহ না হন বা পছন্দ না হয় তাহলে সম্পূর্ণ পোস্টটি পড়বে না। আর ৮০% পাঠক এই ভূমিকা ভালো না হওয়ার কারণে পুরো পোস্টটি না পড়ে বেরিয়ে যান। অতএব চেষ্টা করতে হবে ভূমিকাটি অল্প ভাষায় পুরো পোষ্টের গুরুত্ব ও উপকারিতা কি হবে তা তুলে ধরার। এতে অডিয়েন্স বা পাঠক তার প্রয়োজনীয় শিক্ষা অর্জুন করতে এবং পুরো পোস্টটি পড়তে আগ্রহ হবেন। উদাহরণস্বরূপ বলা যায় আপনার কিওয়ার্ড টি হল স্বাস্থ্যকর খাদ্য তাহলে ভূমিকা হবে স্বাস্থ্যকর খাদ্যের গুরুত্ব,প্রয়োজনীয়তা এবং উপকারিতা।

সেকেন্ডারি ফোকাস কিওয়ার্ড রিসার্চ 

বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম এর শুরুতেই কিওয়ার্ড রিচারজের কথা বলা যায় কারণ আপনি যদি একটি আকর্ষণীয় কিওয়ার্ড রিসার্চ করতে না পারেন তাহলে আপনার আর্টিকেলটি গুগলের প্রথম পেজে যাবে না। অতএ আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে কিওয়ার্ড রিচার্জ এর তুলনা অতুলনীয়। কিওয়ার্ড রিসার্চ বা নির্বাচন করার ক্ষেত্রে আপনি অবশ্যই দেখবেন সেটি জনপ্রিয় কিনা এবং মানুষ এর কাছে এটি গ্রহণযোগ্য হবে কিনা। কারণ অপ্রয়োজনীয় কোন কিওয়ার্ড দি আর্টিকেল লিখলে মানুষ সেটি ভিজিট করতে চায় না।

তাই মানুষ যেন আপনার ওয়েবসাইটটি ভিজিট করে এমন কিছু কীওয়ার্ড আপনাকে নির্বাচন করতে হবে। এবং ফোকাস কিওয়ার্ড রিসার্চের করার পর এই কিওয়ার্ডের উপর নির্ভর করে কিছু সেকেন্ডারি ফোকাস কিওয়ার রিচার্জ করতে হবে এবং সেগুলা বাছাই করে আর্টিকেল এর মধ্যে সুন্দর ভাবে লিখতে হবে। আর্টিকেলের মধ্যে ফোকাস  কিওয়ার্ড সর্বনিম্ন দশবার ব্যবহার করতে হবে। এবং সেকেন্ডারি কীওয়ার্ড মডিফাই করে ৩-৪ বার ব্যবহার করতে হবে। 

এবং সেকেন্ডারিকে ওয়ার্ডগুলো এমন হতে হবে যেন ভিজিটরের কাছে সেগুলো অনেক আকর্ষণীয় হয়ে উঠে। সুতরাং বলা যায় আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে সেকেন্ডারি ফোকাস কি ওয়ার্ড আর্টিকেলের মধ্যে রাখা খুবই জরুরী। 

আর্টিকেল সম্পর্কে অনেক রিচার্জ ও গবেষণা করা 

বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে হলে গবেষণা রিচার্জের প্রয়োজনীয়তা অনেক। তাই আপনাকে আর্টিকেল লেখার জন্য সেই কিওয়ার্ড সম্পর্কে রিচার্জ করতে হবে এবং অন্যদের তথ্য গুলো গবেষণা করে বের করে নিজের ভাষায় সাজিয়ে গুছিয়ে আর্টিকেল লিখতে হবে জানু অডিয়েন্স আপনার পোস্টটি পড়ে তার অজানা তথ্য খুঁজে পায়। অন্যের ওয়েবসাইটের পোস্টগুলো বেশি বেশি পড়া খুবই প্রয়োজনীয় এতে আপনার আর্টিকেল লেখার কত দিন দিন বাড়বে।
বাংলা-আর্টিকেল-লিখার-নিয়ম
তাই আপনি যদি আপনার দক্ষতা বাড়াতে চান তাহলে আর্টিকেল সম্পর্কে আপনাকে বেশি বেশি রিচার্জ গবেষণা করতে হবে। আপনি যত গবেষণা করবেন আপনার আর্টিকেলটি ততো অথেনটিক হবে এবং আপনার ভিজিটরের কাছে আপনার আর্টিকেলটি পছন্দনীয় হবে। এতে আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর দিন দিন বাড়বে। সুতরাং পরিশেষে বলা যায় আর্টিকেল সম্পর্কে বেশি বেশি রিচার্জ করুন ও গবেষণা করে আপনার আর্টিকেলটিকে বেশি আকর্ষণীয় করে তুলুন এবং আপনার ওয়েবসাইটের কনটেন্টের ভিজিটর বাড়িয়ে তুলুন। 

সহজলভ্য ভাষায় আর্টিকেল লিখার নিয়ম 

আর্টিকেল লেখার আগে আপনাকে বুঝতে হবে আপনার আর্টিকেলটি সহজলভ্য ভাষায় লেখাটা জরুরী কিনা? অবশ্যই আপনাকে ভিজিটরের পছন্দ অনুযায়ী আর্টিকেল লিখতে হলে আপনার আর্টিকেলটি সহজলব ভাষায় লিখতে হবে। যেন ভিজিটর আপনার লেখাটি বুঝতে পারে এবং আপনি যেই তথ্যটি দিয়েছেন সেটি সহজেই বুঝতে পারে। আর্টিকেলটি এমনভাবে লিখবেন যেন ভিজিটরের কাছে পরের আগ্রহ বাড়ে এবং আপনার কনটেন্ট এর মধ্যে সব লেখাগুলো সে মনোযোগ সহকারে পড়ে।

 আর্টিকেল যদি আপনি অধিক কঠিন ভাষায় লিখেন তাহলে আপনার ভিজিটর আর্টিকেলটি পড়ে বিরক্ত হতে পারে এবং তার জানতে চাওয়া তথ্যটি বুঝতে নাও পারে সে ক্ষেত্রে আপনার ওয়েবসাইটের ভিজিটর কমে যাবে এবং আপনার আর্টিকেলটি পুরোপুরি কোন বিজি টারি পড়বে না। এজন্য আর্টিকেলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল আর্টিকেলটি সহজ ভাষায় সুন্দরভাবে গুছিয়ে লিখবেন যেন ভিজিটর আপনার আর্টিকেলটি পড়ে একটি ভালো মন্তব্য করতে পারে। 

এবং আর্টিকেলের মধ্যে কোন প্রকার নেগেটিভ কথা ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন। এতে করে আপনার এই পোস্টটি গুগলের প্রথম পেজে যেতে খুবই দ্রুত কাজ করবে এবং আপনি নতুন নতুন অডিয়েন্স খুঁজে পাবেন আপনার ওয়েবসাইটে। পরিশেষে বলা যায় আপনি যে বিষয়ে আর্টিকেল লিখেন না কেন সেটা যেন খুবই সহজ ভাষায় সুন্দরভাবে গুছিয়ে লেখা হয়। 

আর্টিকেলের শুরুতে সূচিপত্র ব্যবহার 

আর্টিকেলের শুরুতে সূচিপত্রের ব্যবহার খুবই জরুরী বলা যায় এটি বাধ্যতামূলক। কারণ ভিজিটর যদি আপনার ওয়েবসাইটে ঢুকে অতি তাড়াতাড়ি তার জানতে চাওয়া বিষয়টি খুবই তাড়াতাড়ি খুঁজে পায় তাহলে ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে ভালো মন্তব্য করবেন এবং তার কাছে আপনার কন্টেনটি অনেক পছন্দনীয় হবে। আর্টিকেলের শুরুতে যেমন ফোকাস কি আর লিখতে হয় তারপরে ভুমিকা লিখতে হয় ঠিক তেমনি ভূমিকার পরে সূচিপত্র রাখতে হবে এবং সূচি পত্রটি যেন খুবই গোছানো হয়।

সূচিপত্রের প্রথমেই আপনাকে ফোকাস কিউ আর রাখতে হবে তাহলে ভিজিটর প্রথম থেকেই পুষ্টি পড়তে আগ্রহী হবেন। সূচিপত্র চেষ্টা করবেন সর্বনিম্ন ১০ টি টপিক রাখার যেন ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটের আর্টিকেলে একটু বেশি সময় ধরে আর্টিকেল পড়তে পারে এবং অনেক বেশি জ্ঞান অর্জন করতে পারে। আর্টিকেলের মধ্যে আপনি যে যে বিষয়গুলো প্রেক্ষাপটে আলোচনা করবেন সেই সেই বিষয়গুলোই সূচিপত্রে লিখতে হবে। 

এক কথায় বলা যায় যে বিষয়গুলো সাব হেডিং হিসেবে ব্যবহার করবেন সেই বিষয়গুলোই আপনি আপনার সূচিপত্রের মধ্যে লিপিবদ্ধ করবেন। এমন কোন বিষয় সূচিপত্রের মধ্যে রাখবেন না যেন সেটি ভিজিটরের জানতে না চাওয়ার বিষয় হয়ে দাঁড়ায় এতে ভিজিটর আপনার সূচিপত্রটি দেখে আপনার পুরো পোষ্টটি না পড়েও আর্টিকেলটি থেকে বের হয়ে যেতে পারে। অতএব আর্টিকেলটি যেমন সহজ ভাষায় লিখা প্রয়োজন ঠিক তেমনি সূচিপত্রটি খুবই সাজানো গোছানো হিসেবে লিখতে হবে। 

আর্টিকেল কপিরাইট মুক্ত রাখতে হবে 

আর্টিকেল লিখার ক্ষেত্রে যেমন প্রয়োজন গবেষণার পরিশ্রমের ঠিক তেমনই প্রয়োজন আপনার বোঝা যেন আপনার আর্টিকেলটি কোন কপিরাইটের আও তাই না পরে। সব কাজেই পরিশ্রম রয়েছে ঠিক তেমনি আপনি যদি পরিশ্রম না করে অন্যের আর্টিকেলটি কপি করে আপনার ওয়েবসাইটে প্রকাশ করেন তাহলে সেটা কপিরাইট মুক্ত আর্টিকেল হবেনা। সে ক্ষেত্রে দেখা যাবে যার আর্টিকেলটি আপনি কপিরাইট করেছেন সে যদি আইনগত ব্যবস্থা নেয় আপনার ওয়েবসাইটটি নষ্ট হয়ে যেতে পারে। 

ও আপনার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাও হতে পারে। অতএব সর্বক্ষেত্রে মনে রাখবেন আর্টিকেল লেখার সময় কারো পোস্ট থেকে আর্টিকেল কপি করবেন না। তবে অন্যের পোস্ট দেখে সাজিয়ে গুছিয়ে নিজের ওয়েব সাইটে আর্টিকেল প্রকাশ করতে পারেন এতে কপিরাইট আসবে না। যদি কখনো বুঝতে পারেন আপনার কোন আর্টিকেল কপিরাইট হয়েছে বা করে ফেলেছেন সে ক্ষেত্রে সেই আর্টিকেলটি ওয়েবসাইট থেকে মুছে ফেলবেন। 

সব সময় চেষ্টা করবেন অন্যের পোস্ট বেশি বেশি পড়ার এবং সেখান থেকে ধারণা নিয়ে নিজের ভাষায় সুন্দরভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে আর্টিকেল প্রকাশ করার। সুতরাং বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়মের মধ্যে কপিরাইট করা পুরোপুরি নিষিদ্ধ। 

বাংলা আর্টিকেল লেখায় বানান সঠিক রাখা 

আর্টিকেল লিখতে গিয়ে অনেক সময় দেখা যায় যে অনেক বানান ভুল হয়ে যাচ্ছে সে ক্ষেত্রে আপনি বানানটি সঠিক করে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। কারণ ভিজিটর আপনার আর্টিকেলটি পড়তে গিয়ে যদি কোন ওয়ার্ড বুঝতে না পারে সে ক্ষেত্রে ভিজিটর বের হয়ে যেতে পারে। অতএব আর্টিকেলের মধ্যে সব সময় চেষ্টা করবেন বানান সঠিক রাখার এবং আর্টিকেল লেখার শেষে আর্টিকেলটি পুরোটা রিভাইস দিয়ে দেখবেন যে আর্টিকেলের মধ্যে কোন বানান ভুল আছে কিনা এবং সেটি সংশোধন করবেন। 

আর্টিকেলে আকর্ষণীয় টাইটেল যুক্ত করা 

বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম অনুসারে প্রথম ধাপই হল একটি টাইটেল বাছাই করা। আর টাইটেল হল আপনার ভিজিটর যেটা লিখে বাজে ফোকাস কেউ একটা লিখে সার্চ দিবে সেটাই হলো টাইটেল। অতএব টাইটেলটি সব সময় আর্টিকেলের প্রথমে টাইটেলে লিখতে হবে। এবং টাইটেলটি যেন খুবই আকর্ষণীয় হয় এতে আপনার ভিজিটর আপনার পোস্টটি পুরো পড়তে মনোযোগী হবে। তাই বলা যায় বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়মে টাইটেল আকর্ষণীয় করার প্রয়োজনীয়তা অনেক বেশি। 

লেখক এর মন্তব্যে ফোকাস কেউ আর যুক্ত করা 

লেখক এর মন্তব্যের ভিতর আমরা সাধারণত জানি লেখক পোস্টটিতে যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করে তার কাছে তার ধারণা অনুযায়ী যেই বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ সেগুলোর সম্পর্কে লিখে থাকে। যেন ভিজিটর লেখক এর মন্তব্য পরে বুঝতে পারে আর্টিকেল থেকে তার কোন শিক্ষাটা নেওয়া উচিত এবং কোন শিক্ষাটা নেওয়া উচিত না। অতএব লেখকের মন্তব্যের শুরুতেই ফোকাস কিওয়ার্ড রাখা জরুরি।
বাংলা-আর্টিকেল-লিখার-নিয়ম
কোন কোন ভিজিটর আছে যারা পুরো পোস্টটি না পড়েও শুধু লেখকের মন্তব্য করে তাদের ক্ষেত্রে যদি লেখক এর মন্তব্যের শুরুতে ফোকাস কেউ আর না থাকে তাহলে তারা পুরো পোস্টটি পড়তে আগ্রহী হবে না বা তারা লেখকের মন্তব্য না পড়েই আর্টিকেল থেকে বের হয়ে যাবে। সুতরাং লেবুর মন্তব্যে ফোকাস কিওয়ার রাখা অত্যন্ত প্রয়োজন।

লেখা শেষে ভালোভাবে রিভিশন দেওয়া 

বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম অনুসারে আপনি পুরো আর্টিকেল লেখার পরে আপনি আপনার আর্টিকেলটি প্রথমে রিভিশন দিবেন। আর্টিকেলের মধ্যে খুঁজবেন আপনার ভুল কোথায় হয়েছে বা কোথাও মিসটেক হয়েছে কিনা। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় একটি আর্টিকেল লিখতে গিয়ে অনেক বানান ভুল হয়ে থাকে তো আপনি একবার রিভিশন দিলে বুঝতে পারবেন আপনার কোথায় বানান ভুল হয়েছে সেটি আপনি সংশোধন করতে পারবেন। আবার আপনার আর্টিকেলের মধ্যে যদি কোথাও কোন প্রবলেম হয়ে থাকে সেটিও আপনি ধরতে পারবেন এবং অতি তাড়াতাড়ি সংশোধন করতে পারবেন। তাই প্রত্যেকটি কনটেন্ট ভার্টিক্যাল লেখার পর সেই আর্টিকেলগুলো ভালোভাবে স্থির হয়ে রিভিশন দেওয়া উচিত এতে আপনার ভিজিটরের আপনার কনটেন্ট পড়তে সুবিধা হবে এবং তার কাছে কনটেন্টি অনেক পছন্দনীয় হয়ে উঠবে। 

লেখক এর মন্তব্যঃ বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম 

বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম সম্পর্কে আপনার পুরোপুরি জ্ঞান অর্জন করতে হবে এবং অনেক গবেষণা করতে হবে। যদি আপনি বাংলা আর্টিকেল লিখার নিয়ম অনুসারে আর্টিকেল নাম লিখেন এবং আর্টিকেলে নিয়ম নীতি না মানেন আপনার পোস্টটি গুগলের প্রথম পেজে যাবেনা বা google কর্তৃপক্ষ আপনার পোস্টটি থেকে আপনাকে তেমন কোনো সোর্স দিবেনা। অতএব একটি আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে আর্টিকেলের নিয়ম নীতি খুবই সুন্দরভাবে বুঝে সেই বিষয়ে দক্ষতা অর্জন করে তারপরে আর্টিকেল লেখা উচিত। 

এবং আশা করি আপনারা আমার এই পোস্টটি পড়ে এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন একটা আর্টিকেল লিখতে কি কি নিয়ম জানতে হয় এবং মানতে হয় এবং আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে নিয়ম নীতিমালা কথাটা গুরুত্বপূর্ণ। আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে আপনি যদি আপনার তথ্য পেয়ে থাকেন এবং পুরো পোস্টটি পড়ে থাকেন তাহলে কমেন্টে জানিয়ে যাবেন। 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

পজিশন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url