বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো এসি কোনটি
পোস্ট সূচিপত্রঃ বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো এসি কোনটি
- বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো এসি কোনটি
- ইনভার্টার না নন ইনভার্টার কোনটি ভালো
- উইন্ড না স্প্লিট কোনটি ব্যবহারে ভালো
- কোন ব্যান্ডের এসি ক্রয় করবেন?
- এসি কিনার আগে সতর্কতা অবলম্বন করুন
- এসির বিদ্যুৎ খরচ সম্পর্কে জেনে নিন
- বাসায় ব্যবহারের জন্য কত টনের এসি ভালো
- কয়েকটি ভালো ব্র্যান্ডের এসির মূল্য তালিকা
- বাংলাদেশের ভালো কয়েকটি এয়ার কন্ডিশনার সম্পর্কে জেনে নিন
- লেখক এর মন্তব্য
বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো এসি কোনটি
বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো এসি কোনটি? এটা জানার পূর্বে এসি সম্পর্কিত সমস্ত তথ্য জানা প্রয়োজন না হলে পরবর্তীতে অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। তাই এসি সম্পর্কিত সমস্ত কিছু আপনার জানা প্রয়োজন। প্রথমে আপনার উচিত যে ব্রান্ডের এসি ব্যবহার করবেন সেই ব্র্যান্ড সম্পর্কে ধারণা নেওয়া। সেই ব্র্যান্ডের এস সার্ভিসিং সেন্টার আপনার শহরের আশেপাশে আছে কিনা সেটা জানা।
কারণ এসি নষ্ট হলে যেন আপনি অতি তাড়াতাড়ি এসি সার্ভিসিং করাতে পারেন। তাই আপনি আমাদের এই পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন কোন ব্যান্ডের আছি ভালো এবং কোনটি আপনার জন্য প্রযোজ্য হবে। ও এসি সম্পর্কিত সমস্ত কথা এই পোস্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন। সুতরাং এই পোস্টটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন এবং জেনে নিন কোন এসিটি আপনার জন্য ভালো হবে।
ইনভার্টার না নন ইনভার্টার কোনটি ভালো
উইন্ডো না স্প্লিট কোনটি ব্যবহারে ভালো
উইন্ডো ও স্প্লিট এই দুইটা এসির মধ্যে দুই তারিখ কার্যকারিতা তুলনামূলক অনেক ভালো। কিন্তু এদের মধ্যে পার্থক্য হল উইন্ডো এসি জানালার পাশে লাগানো হয় এবং উইন্ডোসী বাসার মধ্যে আলো এবং তাপের অনেক কমিয়ে দেয়। শীতল বাতাস প্রদানের ক্ষেত্রে উইনডো এবং স্প্লিট দুইটা এক রকমই কার্যকারী। ইনভার্টার উইন্ডো এসির কথা যদি বলি তাহলে এটি অনেক বিদ্যুৎ সাশ্রয়।
স্প্লিট এসি সাধারণত ঘরের বাইরে বসানো থাকে তাই এটি দূরে থেকেই শীতল রাখে যে জায়গাটি ঠান্ডা করা হবে তার থেকে এটি দূরে রাখা হয় এবং এটির কোন আওয়াজ থাকে না তেমন। নিরবে এর কার্যক্রম চালু থাকে। এবং এটি বাইরে থাকার কারণে বাসার কোন সমস্যা হয় না এবং কোন দুর্ঘটনার সম্মুখীন হতে হয় না। তাই বলা যায় ইনভার্টার স্প্লিট এসিটি অনেক এবং মানুষ ইনভার্টার স্প্লিট এসি বেশি ক্রয় করে থাকে।
কোন ব্র্যান্ডের এসি ক্রয় করবেন?
বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো এসি কোনটি এটা নির্ভর করে ব্রান্ড এর উপর। আপনি কি ভাবছেন কোন ব্র্যান্ডের এসি করে করবেন তাহলে আমাদের এই পোষ্টের
মাধ্যমে বুঝে নিন কোন ব্র্যান্ডের এসটি আপনার জন্য। এসি ক্রয় করার পূর্বে
ব্র্যান্ড সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে এবং সেই ব্র্যান্ড টির কার্যকারিতা কি রকম
সেটা সম্পর্কে ধারণা নেয়া উচিত। আমাদের এই পোস্টে কয়েকটি ভালো ভালো
ব্র্যান্ডের এসির মূল্য ও তালিকা দেওয়া থাকবে।
আপনার আশেপাশে যে ব্র্যান্ডটি থাকবে এগুলির মধ্যে আপনি সেটি
ক্রয় করতে পারবেন। উদাহরণস্বরূপ কয়েকটি এসি নাম বলা হলোঃ গ্রী এসি,জেনারেল
এসি,সিঙ্গার এসি,ওয়ালটন এসি ইত্যাদি এই ব্যান্ডগুলোর সম্বন্ধে নিচে আলোচনা করা
থাকবে আপনি সেগুলি মনোযোগ দিয়ে পড়ে আপনার পছন্দ অনুযায়ী এসএ সিলেক্ট
করুন।
এসি কিনার আগে সতর্কতা অবলম্বন করুন
বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো এসি কোনটি এটা জানার আগে সতর্কতা অবলম্বন করা সব থেকে জরুরী বিষয়। এবং এটা ঠিক করা উচিত আপনি যে ব্র্যান্ডের এসিটি ক্রয় করছেন সেটি কোন দুর্ঘটনা ঘটাতে পারে কিনা। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় অনেক বাসায় বা অফিসে এসি বাস্ট করে অনেক বড় দুর্ঘটনা হয়ে থাকে তাই কোন এসিটি আপনাকে দুর্ঘটনায় ফেলবে না সেটা জানা জরুরি।
হয়তো এতক্ষণে পড়ে বুঝতে পেরেছেন কোন এসিটি দুর্ঘটনা বেড়াতে সাহায্য করে। এবং বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক কপি কোম্পানি তৈরি হয়েছে সেগুলো দ্বারা অনেক মানুষ প্রতারিত হচ্ছেন। সুতরাং এসি কিনার আগে এসি সম্পর্কে সকল ধারণা আপনার জানা দরকার সেটা একমাত্র পজিশন আইটির এই কনটেন্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন। কিছু টাকা সাশ্রয় করতে গিয়ে কোন খারাপ এসি কিনে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হবেন না।
তাই অতি সাবধানতার সাথে এসির ব্র্যান্ড সিলেক্ট করুন এবং আপনার সাধ্য অনুযায়ী একটু ভালো এসি কিনুন। অনেকেই হয়তো জনতার কথা শুনে ভয় পাচ্ছেন যে আপনার জন্য এসি কিনা টা ঠিক হবে কিনা কিন্তু এখানে ভয়ের তেমন কোন কারণ নেই একটু সাবধানতা অবলম্বন করে আপনি আপনার পছন্দমত এসি কিনতে পারেন কিন্তু তার আগে আপনার এসি সম্পর্কে সামান্য জ্ঞান থাকা জরুরী।
এসির বিদ্যুৎ খরচ সম্পর্কে জেনে নিন
আপনি কি একটি এসি কিনার জন্য ভাবছেন কিন্তু বিদ্যুৎ খরচ নিয়ে ভয় পাচ্ছেন তাহলে জেনে নিন। বিদ্যুৎ শাস্ত্রে এসির মধ্যে ইনভার্টার টেকনোলজির এসিগুলো অনেক বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী। ইনভার্টার এসি কেনার মাধ্যমে আপনি আপনার বাসার বা অফিসের বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয় করতে পারেন। এবং এসি কিনার সময় লক্ষ্য করবেন স্টারমার্ক দেখে এসি কেনার জন্য।
কারণ হাই স্টার দেওয়া এসিগুলো খুবই বিদ্যুৎ সাশ্রয়ই হয়। সুতরাং গ্লোবাল এনার্জি স্টারমার্ক দেওয়া এসিগুলো কিনতে পারেন এবং আপনার এসিতে বিদ্যুৎ খরচ কমাতে পারেন। এবং এই এসিগুলোই সাধারণত গ্রাহকরা বেশি বেশি ক্রয় করে থাকেন তাদের বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয় করার জন্য।
বাসায় ব্যবহারের জন্য কত টনের এসি ভালো
বাসায় ব্যবহারের জন্য কত টনের এসি কিনবেন সেটা নিয়ে চিন্তিত? মূলত আপনার এসিটি কত টনের কিনবেন সেটা নির্ভর করে আপনার বাসাটি বা অফিসটি কত বড় এবং এসিটি কোথায় লাগাবেন। যদি আপনি আপনার বাসায় ব্যবহার করার কথা ভাবেন তাহলে আপনার রুমটি কত স্কয়ার ফিট সেটা বিক্রেতার কাছে প্রকাশ করুন। তবে বাসাতে সাধারনত ১ থেকে ১.৫ টনের এসি বেশি ব্যবহার করা হয় কারণ এতেই একটি রুমকে শীতল রাখার ক্ষমতা রাখে।
পরিশেষে বলা যায় আপনি আপনার বাসায় ১ থেকে ১.৫ টনের এসি ব্যবহার করুন কারণ এতে আপনি আপনার চাহিদা পূরণ করতে পারবেন এবং আপনার বিদ্যুৎ বিল সাশ্রয়ী হবে।
কয়েকটি ভালো ব্র্যান্ডের এসির মূল্য তালিকা
বাংলাদেশের ভালো কয়েকটি এয়ারকন্ডিশনার সম্পর্কে জেনে নিন
১.গ্রী এসি সম্পর্কেঃ
বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো এসি কোনটি ? বর্তমানে বাংলাদেশে অনেক এসির কোম্পানি তৈরি হয়েছে বা এসির ব্রান্ড রয়েছে তারমধ্যে অন্যতম একটি ব্র্যান্ড হচ্ছে গ্রী। গ্রি
ব্র্যান্ডের এসিগুলো অনেক উন্নত হয় এবং এগুলোর সার্ভিসে অনেক ভালো। এই
ব্র্যান্ডের ইচ্ছেগুলো সাধারণত ১ টন থেকে ৫ টন হয়ে থাকে। এই ব্র্যান্ডের মধ্যে অনেক ক্যাপাসিটির স্পিরিট, ইনভার্টার, নন ইনভার্টার
ও উইন্ডো ইত্যাদি এসব ধরনের এসি সরবরাহ করে থাকে। গিয়ে এসিগুলো মূলত
অনেক সময় ধরে কাজ করে এবং অনেকদিন ব্যবহার করা যায়। এগুলো অনেক বিদ্যুৎ
সাশ্রয়ী হয়ে থাকে এবং পরিবেশবান্ধব হওয়ায় এই গ্রী ব্র্যান্ডের সেগুলি
সেরা।
২.জেনারেল এসি সম্পর্কেঃ
আমাদের দেশে গরমের কারণে বাসা বাড়িতে বা অফিসে মানুষ এসি ব্যবহার করে থাকে। এই
এসি গুলোর মধো পরিচিত ব্র্যান্ড হলো জেনারেল এসি। এই জেনারেল সিটি অনেক
নির্ভরযোগ্য হয় এবং এর মধ্যে রয়েছে উইন্ডো ওই স্প্লিট টাইপের এসি। এছাড়াও এই
এসিতে অনেক আধুনিক সেন্সর লাগানো থাকে এবং গরম ও শীতল ফাংশন দুইটাই থাকে। এক
কথায় বলা যায় জেনারেল এ সিটি সব আবহাওয়াতে বা তাপমাত্রায় ব্যবহার করার জন্য
প্রযোজ্য।
3. হায়ার এসি সম্পর্কেঃ
হায়ার এসি সম্পর্কে বলতে গেলে বলা যায় এটি একটি উন্নত মানের দক্ষ ও উন্নত কর্ম
ক্ষমতা প্রদানের একটি সেরা ব্যান্ড। হায়ার এসি ব্র্যান্ডের মধ্যে সবগুলো
সিস্টেমই রয়েছে যা অন্য ব্র্যান্ডের মধ্যে পাওয়া যায় না এবং এটি রুমের পরিবেশ
কে অনেক শীতল রাখতে সক্ষম। এর মধ্যে ইনভার্টার ও নন ইনভাটার আরো উইনডো, স্প্লিট
সবগুলো সিস্টেমে রয়েছে। হায়ার এসি অনেক উন্নত প্রযুক্তি দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। এর
ফলে গ্রাহকরা তার পছন্দ অনুযায়ী সবগুলো সিস্টেমে এর মধ্যে পেয়ে থাকে তাই হায়ার
এসি পছন্দ অনুযায়ী বাসায় করে নিতে পারেন।
৪. ওয়ালটন এসি সম্পর্কেঃ
ওয়ালটন এসি বাংলাদেশীয় পণ্য এবং দেশীয় ব্র্যান্ড হিসেবে অনেক ভালো কাজ করে।
এটিতে বিভিন্ন ডিজাইনের ইসি রয়েছে গ্রাহকদের চাহিদা মেটানোর জন্য এই
ব্র্যান্ডের উইন্ডো, স্প্লিট এবং ক্যাসেট ইউনিটের এসি রয়েছে। এবং এটি শীতল
বাতাস প্রদানে সক্ষম ও অনেক বিদ্যুৎ সাশ্রয়। সুতরাং বলা যায় কম বাজেটের
ক্রেতাদের জন্য ওয়ালটন এসি অনেক ভালো ও উন্নত মানের ব্যান্ড।
৫. স্যামসাং এসি সম্পর্কেঃ
এই ব্র্যান্ড টি অতিরিক্ত তাপমাত্রা তে অনেক শীতল রাখে এবং আরামদায়ক পরিবেশ তৈরি
করে এর জন্য আমাদের দেশে samsung ব্রান্ডটির অনেক সুনাম রয়েছে। অন্য সবগুলো এসির
মধ্যে যেই টেকনোলজি ও সিস্টেমগুলো রয়েছে এটার মধ্যেও সবগুলোই প্রযুক্তিযুক্ত
রয়েছে। হলে এটি সম্পর্কে আলাদাভাবে বলার কোন কিছু নেই। এটি একটি দক্ষ ও
দীর্ঘস্থায়ী ব্যবহারে প্রযোজ্য।
লেখক এর মন্তব্য
বাংলাদেশের সবচেয়ে ভালো এসি কোনটি এই সম্পর্কে পজিশন আইটির এই কনটেন্টটিতে আলোচনা করা হয়েছে। এবং আলোচনা করা হয়েছে এসিগুলোর প্রাইজ এবং গুণগত মান সম্পর্কে। এর থেকে ধারণা করা যায় আপনি এই পোস্টটি পড়ার পর আপনার পছন্দমত এসি কেনার জন্য আর কোন আশঙ্কা রাখবেন না। এবং আপনি কোন এসিটি পছন্দ করবেন সেটা অবশ্যই বুঝতে পেরেছেন।
এই পোস্টটি পড়ে এসি সম্পর্কিত সমস্ত জ্ঞান আশা করি আপনারা পেয়ে গিয়েছেন এবং সব সর্তকতা অবলম্বন করে একটি ভালো মানের এসি কিনতে সক্ষম হবেন। আমার কাছে মনে হয় আপনারা যদি বেশি বাজেটের ভালো হইছে কিনতে চান তাহলে গ্রী এসি সর্বোচ্চ ভালো হবে। এবং আপনি যদি কম বাজেটের মধ্যে বিদ্যুৎ সাশ্রয় এসি কিনতে চান তাহলে ওয়ালটন এসিটি কিনতে পারেন।
আশা করি পুরো পোষ্টটি মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন এবং আপনি আপনার পছন্দমত এসে কিনতে সক্ষম হবেন। এই পোস্টটি যদি আপনার কাছে ভালো লেগে থাকে তাহলে একটি কমেন্টের মাধ্যমে জানিয়ে যাবেন।
পজিশন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url