মেয়েদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ক্রিমগুলো জেনে নিন
মেয়েদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ক্রিম গুলো সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? এবং
আপনার ঠোঁটের কালো দাগ নিয়ে অনেক সমস্যায় ভুগছেন? আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে
কিভাবে একটি ক্রিম ব্যবহার করে বা আরো কিছু টিপস এর মাধ্যমে ঠোঁটের কালো দাগ দূর
করতে পারবেন তা বিস্তারিত নিচে আলোচনা করা হয়েছে।
আমরা হয়তো অনেকেই আমাদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার জন্য অনেক ধরনের ক্রিম
ব্যবহার করে থাকি কিন্তু এতে কোন প্রকার ফল পায় না তাই ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার
জন্য যেসব ক্রিমগুলো আপনাদের জন্য খুবই কার্যকারী সেই ক্রিমগুলো সম্পর্কে জানতে
আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃ মেয়েদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ক্রিম
মেয়েদের ঠোটের কালো দাগ দূর করার ক্রিম ক্লোভেট সম্পর্কে।
মেয়েদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ক্রিম গুলোর মধ্যে ক্লোভেট অনেক কার্যকরী।
ঠোঁটের কালো দাগ দূর করাই ক্লোভেট ক্রিমের কার্যকারিতা কেমন এবং কিভাবে ব্যবহার
করতে হবে আপনি কি জানতে চাচ্ছেন? ও কিভাবে আপনি ক্লোভেট ক্রিম ব্যবহার করে আপনার
ঠোঁটের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনবেন তা নিয়ে ভাবছেন? তাহলে আর চিন্তা করবেন না কারণ
আমাদের এই আর্টিকেলের মাধ্যমে আজকে আপনাদেরকে ক্লোভেট ক্রিম ব্যবহার করে কিভাবে
আপনার ঠোঁটের কালো দাগ দূর করে সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনা যায় তা নিয়ে বিস্তারিত
আলোচনা করা হয়েছে।
তাই ঠোঁটের কালো দাগ দূর করতে পুরো আর্টিকেলটি শেষ পর্যন্ত পড়তে
থাকুন। মানুষের ঠোঁট একটি নমনীয় জায়গা। ঠোঁট আমাদের শরীরের অনেক
গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। এবং এই ঠোঁটের কারণে আমাদের সৌন্দর্য বা আমাদের শরীরের
সৌন্দর্য অনেকটা বজায় থাকে। যদি একটি মানুষের ঠোঁট সুন্দর না হয় তাহলে অনেক
ক্ষেত্রেই অনেক সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। এবং ঠোঁট যদি কালো হয় তাহলে আমাদের
শরীরের বা চেহারার সৌন্দর্য একটু খারাপ লাগে দেখতে।
তাই যদি আপনার ঠোঁট কোনো কারণে বা আগে থেকেই কালো হয়ে থাকে তাহলে আপনি ক্লোভেট
এন এই ক্রিমটি ব্যবহার করতে পারেন। এই ক্রিমটি ব্যবহারের ফলে আপনার ঠোঁটের কালো
দাগ দূর হবে। এবং ঠোঁটটি আস্তে আস্তে গোলাপি রঙের হতে থাকবে যা আপনার চেহারার
সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবে। আমরা অনেক সময় অনেক ধরনের ক্রিম ব্যবহার করে থাকে আমাদের
ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার জন্য কিন্তু সেই ক্রিমগুলো ব্যবহার করার পরেও আমাদের
ঠোঁটের কালো দাগ দূর হয় না বরং ঠোঁটের অনেক ক্ষতি হয়ে থাকে।
এই দিক থেকে ক্লোভেট ক্রিমটি অনেক কার্যকারী। এই ক্রিমটি ব্যবহারের ফলে আপনাদের
ঠোঁট আরো বেশি নমনীয় হয়ে উঠবে এবং সৌন্দর্যময় হয়ে উঠবে। তাই আমাদের এই
আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনি আজকে চিনে নিতে পারবেন কিভাবে এই ক্লোভেট ক্রিমটি
ব্যবহার করবেন সেই সম্পর্কে। অনেকের মনে হয় দেওয়া প্রশ্ন প্রশ্ন আসতে পারে যে
এই ক্লোভেট ক্রিমটি কি এবং এটি কিভাবে ব্যবহার করা যায় এই প্রশ্নগুলোর উত্তর
নিচে উল্লেখ করা হলোঃ
প্রশ্নঃ ঠোঁটের কালো দাগ দূরীকরণে ক্লোভেট ক্রিমটি কাজ কি
আমাদের শরীরের বিশেষ অঙ্গের মধ্যে একটি হল ঠোঁট। এবং ওই ঠোঁটটি যদি দেখতে খারাপ
লাগে তাহলে সবার মনের ভেতরে একটু খারাপ লাগা সৃষ্টি হয়। আমরা সাধারণত কথা বলার
সময় আমাদের ঠোঁটটা নাড়াচাড়া করে কথা বলি সেই ক্ষেত্রে অপর পক্ষের যে মানুষটি
কথাগুলো শুনবে সে আমাদের ঠোঁটের দিকেই তার ফোকাসটি আগে পরে। ও আমাদের ঠোঁটটি যদি
কালো হয় তাহলে তো নিজের কাছে একটু খারাপ লাগা সৃষ্টি হতে থাকে।
তো আজকে আমরা আমাদের এই ঠোঁটটির কালো দাগ দূর করার ক্রিম ক্লোভেট এন এর
কার্যকারিতা কেমন এই সম্পর্কে জানব। আমাদের হয়তো অনেকেরই জন্ম থেকে বা সাময়িক
সময়ের জীবাণুর জন্য আমাদের ঠোঁটটির ওপরে কালো পাতলা স্তর সৃষ্টি হয়।
মেয়েদের ক্ষেত্রে দেখা যায় হয়তোবা অনেক ক্রিম ইউজ করার কারণে বা ঠোঁটের যত্ন
না নেওয়ার কারণে ঠোঁটটি কালো হয়ে যায়। সেই ক্ষেত্রে এই ক্লোভেট এন টি
ব্যবহার করার মাধ্যমে আপনাদের ঠোঁটের কালো পাতলা স্তরটি কেটে যাবে এবং যদি কোন
প্রকার জীবনও থাকে সেটিও দূর হয়ে যাবে।
ক্লোভেট এন ঠোটে নিয়মিত অল্পস্তর ব্যবহার করার মাধ্যমে ঠোটের কালো দাগ দূর হয়।
এবং আমরা যখন ঠোঁটে ক্লোভেট এন ক্রিমটি ব্যবহার করি তখন ক্রিমটি ঠোটের ওপরের যে
কালো স্তরটি থাকে ও জীবাণুগুলো থাকে এইগুলোকে ধ্বংস করে থাকে ও আস্তে আস্তে উঠে
যায় এবং ময়লা বা জীবানু গুলো দূর হয়ে যায়। ক্লোভেট এন ক্রিমটি একটি প্রাকৃতিক
ও নিরাপদ সমাধান ঠোটের কালো দাগ দূর করার জন্য। এবং এই ক্রিমটি আমাদের ঠোঁটের
শুষ্কতা ও রুক্ষতা দূর করে।
আরো পড়ুনঃ শরীরকে মোটা করার সবথেকে ভালো উপায়
অনেক সময় দেখা যায় আমাদের ঠোঁটে পুষ্টিহীনতার কারণে ঠোঁট ধীরে ধীরে শুষ্ক হয়ে
যায় এবং ফেটে যায় ও কালো হয়ে যায় এই ক্ষেত্রে ক্লোভেট এন ক্রিমটি আমাদের
ঠোঁটকে পুষ্টির অভাব পূরণ করে ঠোঁটের শুষ্কতা কমিয়ে তোলে এবং কালো দাগ দূরীকরণ
করে। ক্লোভেট এন ক্রিমটি ক্লোভের নির্যাস দিয়ে তৈরি, এই ক্রিমটি ঠোঁটের ত্বকের
পুষ্টির অভাব পূরণ করে থাকে। মেয়েদের ক্ষেত্রে দেখা যায় ঠোঁটের শুষ্কতার কারনে
ঠোঁটটি অনেক কালো দেখায় সেই ক্ষেত্রে মেয়েরা যদি ক্লোভেট এন ক্রিমটি ব্যবহার
করে তাহলে তাদের ঠোঁটের শুষ্কতা কমে গিয়ে তারা তাদের ঠোঁটের সৌন্দর্য ফিরে
পাবে।
আবার দেখা যায় ছেলেদের ক্ষেত্রে রৌদ্রে ঘোরাফেরা করার কারণে আবার অনেক ক্ষেত্রে
ধূমপান করার কারণে ঠোঁট কালো হয়ে যায় ঠোঁটের ত্বকে একটি কালো স্তরসৃষ্টি হয়
যার কারণে ঠোঁটটি অনেক কালো দেখায়। ছেলেদের ক্ষেত্রেও এই সমস্ত সমস্যা থেকে বের
হওয়ার জন্য এবং ঠোঁটের কালো স্তরটি দূর করার জন্য ক্লোভেট এন ক্রিমটি অনেক
কার্যকরী। ছেলেরা যদি ঠোটের কালো স্তরটি তুলতে চাই তাহলে ক্লোভেট এন ক্রিমটি
ব্যবহার করলে ঠোটের কালো দাগ দূর হয়ে ঠোঁটের ত্বকের সৌন্দর্য
ফিরে পাবে।
ক্লোভেট এন এই ক্রিমটি মূলত তৈরি করা হয়েছে ত্বকের বিভিন্ন রোগ যেমন একজিমা,
চর্মরোগ, এলার্জি ইত্যাদি থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য। এটি সাধারণত আমাদের ত্বকের
পিগামেন্টেশনও নিয়ন্ত্রণ করে। এদের মধ্যে যেসব উপাদান করে রয়েছে তা
হল ক্লোবেটাসল প্রপিওনেট নামক একটি স্টেরয়েড উপাদান দিয়ে যা ত্বকের লালচে
ভাব ও পিগামেন্টেশন কমাতে সাহায্য করে। ক্লোভেট এন এই ক্রিমটি ঠোঁটের ত্বকের
মেলানিন উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে এবং কালচে ভাব বা কালচে দাগ দূর করে।
আমরা হয়তো এতক্ষণে বুঝতে পেরেছি ক্লোভেট এন ক্রিম টির কার্যকারিতা কেমন ও এটি
কিভাবে কাজ করে। এখন আমাদের মনে প্রশ্ন আসতে পারে ক্লোভেট এন ক্রিমটি কিভাবে
ব্যবহার করলে আমাদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর হবে বা ক্লোভেট এন ক্রিমটি ব্যবহার করার
নিয়ম কেমন। আমরা এখন নিচে আলোচনা করব এই প্রশ্নটি নিয়ে।
প্রশ্নঃ ঠোঁটে ক্লোভেট এন ক্রিম ব্যবহারের নিয়ম
মেয়েদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার জন্য ক্লোভেট এন ক্রিমটি ব্যবহার করা হয়ে থাকে। কিন্তু ক্লোভেট এন ক্রিমটির নাম শুনে থাকলেও হয়তো অনেকেই জানে না ক্লোভেট এন ক্রিমটি কিভাবে ব্যবহার করা প্রয়োজন। না জানি অতিরিক্ত ব্যবহার করে ফেলি তাহলে কিন্তু তার ফলাফল অনেক খারাপ হয়ে থাকে। তাই আমাদের জন্য প্রথমে সবথেকে বেশি জরুরী কাজ হল ক্লোভেট এন ক্রিম টি ব্যবহারের নিয়ম জানা।
ক্রিমটি ব্যবহার করার সময় স্বল্প পরিমাণে নিয়ে ঠোঁটে লাগানোর পরে হালকা একটু আঙ্গুল দিয়ে ঘষাঘষি করলে ঠোঁটের উপরের যে পাতলা স্তরটি রয়েছে সেটা অল্প পরিমাণে ময়লার মত বা জীবানুর মতো উঠে যায়। এভাবেই খুব পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার সাথে ও নমনীয় কিছু দিয়ে ঠোঁটের ত্বকে ক্রিমটি লাগিয়ে একটু মেসেজ করবেন প্রথমে তাহলেই দেখবেন ঠোঁটের উপরের যত ময়লা বা জীবানুগুলো রয়েছে সেগুলো উঠে যেতে থাকবে।
এবং এটি প্রতিদিন নিয়মিত ব্যবহার করতে হবে। আপনাকে একটা রুটিন তৈরি করতে হবে সেই রুটিন ফলো করে বা রুটিনটি নিয়মিত পালন করে ক্লোভেট এন ক্রিম টি ব্যবহার করতে হবে এতেই আপনার ঠোঁটের কালো দাগটি আস্তে আস্তে দূর হবে এবং ঠোঁটের সৌন্দর্য ফিরে পাবেন। তাই পরিশেষে বলা যায় ঠোটের কালো দাগ দূর করার জন্য ক্রোভেট কেমতে যেমন কার্যকারী ঠিক তেমনি এই ক্রিমটি ব্যবহারের নিয়ম ও সঠিক রুটিন মোতাবেক প্রতিদিন ব্যবহার করা ও অনেক প্রয়োজনীয়।
মেয়েদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ক্রিম বেটনোভেট সম্পর্কে
মেয়েদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ক্রিমগুলোর মধ্যে আরেকটি কার্যকারী ক্রিম হলো
বেটনোভেট। এই ক্রিমটি অনেক কার্যকারী এটি ব্যবহার করার মাধ্যমে আমাদের ঠোঁটের
কালো দাগ দূর করা সম্ভব। ক্লোভেট এন যেমন কার্যকারী ঠিক তেমনি বেটনো ভিডিও আমাদের
ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার জন্য ঠিক ততটাই গুরুত্বপূর্ণ। বেটনোভেট ব্যবহার করার
নিয়ম কানুন গুলো জেনে বেটনোভেট ব্যবহার করতে হবে। এই ক্রিমটি সাধারণত ঠোঁটে
হালকা বিস্তার দিয়ে ঠোঁটের ত্বকে একটু হালকা করে মেসেজ করলেই ঠোঁটের সমস্ত ও
ময়লা বা জীবাণু আস্তে আস্তে দূর হয়ে যাবে।
কিন্তু এটিও নিয়মিত রুটিন করে ব্যবহার করতে হবে তাতে আমাদের ঠোঁটের কালো দাগ খুব
তাড়াতাড়ি দূর হয়ে যাবে। তবে ক্রিমটিও অধিক পরিমাণে ব্যবহার করা যাবে না
নিয়ম-কানুন মেনে ব্যবহার করতে হবে। বেটনোভেট ক্রিমটি ব্যবহার করার সময় প্রথমে
আপনি আপনার ঠোঁটটি ভালোভাবে পরিষ্কার করে নিন। তারপরে ঠোটে ক্রিমটি দিয়ে হালকা
করে আঙ্গুল দিয়ে মাসাজ করুন। যদি আপনি রাতারাতি এর ফল টি পেতে চান তাহলে রাতে
এটি ব্যবহার করে বা ম্যাসেজ করে ঘুমিয়ে পড়ুন।
সকালে উঠে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার ঠোঁটের ময়লা বা কালো দাগ দূর হতে শুরু করেছে।
অতএব আপনারা এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন বেটনোভেট ক্রিমটি ব্যবহার করার নিয়ম এবং
কিভাবে ব্যবহার করলে ভালো হবে। পরিশেষে একটা কথাই বলা যায় সেটি হল বেটনোভেট
ক্রিমটি ব্যবহার করবেন নিয়ম-কানুন মেনে তাহলে আপনি এর প্রয়োজনীয়তা ও
কার্যকারিতা বুঝতে পারবেন।
ঠোঁটের কালো দাগ দূর দূরীকরণে ক্রিমের উপকারিতা ও অপকারিতা
ঠোঁটের কালো দাগ দূরীকরণে ক্রিমের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে এখন এই আর্টিকেলে
আলোচনা করা হলো। আমরা সাধারণত যে কোন ক্রিম ব্যবহার করে থাকি কিন্তু সেই ক্রিমের
উপকারিতা অপকারিতা সম্পর্কে জানিনা। তবে প্রত্যেকটি ক্রিম এরই যেমন উপকারিতা
রয়েছে ঠিক তেমনি প্রত্যেকটি ক্রিম এর উপকারিতা ও রয়েছে তাই উপকারিতার পাশাপাশি
অপকারিতা জানাটাও অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
যদি আমরা একটি ক্রিম অধিক পরিমাণে ব্যবহার করে থাকি বা লিমিটের বাইরে ব্যবহার করে
থাকি তাহলে আমাদের উপকারিতা থেকে অপকারিতা অনেক বেশি হয়ে পড়বে। তাই আশা করি
আপনারা একটি ক্রিম ব্যবহার করার আগে সেটা যে ক্ষেত্রেই হোক না কেন তার উপকারিতা ও
অপকারিতা সম্পর্কে জানবেন। এখন আমরা আমাদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ক্রিমগুলো
যেমন ক্লোভেট ও বেটনোভেট এর উপকারিতা ও অপকারিতা নিয়ে আলোচনা করব।
কালো দাগ দূরীকরণে ক্লোভেট এন ক্রিম এর উপকারিতা
কালো দাগ দূর করায় ক্লোভেট এন ক্রিম এর উপকারিতার অনেক বেশি। এর অপকারিতা থেকে
উপকারিতা সবথেকে বেশি কারণ এই ক্রিমটি একটি প্রাকৃতিকভাবে ক্লোভের নির্যাস দিয়ে
তৈরি। তাই এর কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই। এই ক্রিমটে যদি নিয়ম মেনে ব্যবহার
করা যায় তাহলে এর ফলাফল খুবই তাড়াতাড়ি পাওয়া যায়। এই ক্রিমটি আমাদের ঠোঁটকে
শুষ্কতা ও রুক্ষতা থেকে বাঁচতে সাহায্য করে এবং আমাদের ঠোঁটকে নরম ও মসৃণ করে
তোলে।
আমাদের ঠোঁটে পুষ্টির ঘাটতি পূরণ করে এবং ঠোঁটকে কালো দাগ থেকে দূর করে। এই
ক্রিমটি আমাদের ঠোঁটের কোন প্রকার ক্ষতি করে না এবং আমাদের ঠোঁটকে অনেক মজবুত ও
সুন্দর করে তুলতে অনেক সাহায্য করে থাকে। এই ক্রিমটি আমাদের ত্বকের ত্বকের
লিগামেন্টেশন সাহায্যে বা বৈশিষ্ট্য ঠোটের কালো দাগ দূর করে থাকে। আশা করি
এতক্ষণে আপনারা বুঝতে পেরেছেন যেগুলো ভেট ইন টিমটির উপকারিতা আমাদের ঠোঁটের জন্য
কতখানি। এই ক্রিমটি আমাদের ঠোঁটকে কতটা সুন্দর ও মসৃণ গড়ে তোলে। নিচে আমরা ক্লোভেট এন
ক্রিমটির অপকারিতা নিয়ে আলোচনা করব।
কালো দাগ দূরীকরণে ক্লোভেট এন ক্রিম এর অপকারিতা
কালো দাগ দূরীকরণে ক্লোভেট এন ক্রিম এর অপকারিতা কথা বলতে গেলে প্রথমে আসে এই যে
এ প্রত্যেকটি জিনিসেরই কিন্তু একটি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া থাকে তাই ক্লোভেট এন
ক্রিমটিরও ঠিক তেমনি একটি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া তৈরি হয় যখন আপনি এর নিয়ম না
মেনে অধিক পরিমাণ ব্যবহার করে ফেলবেন। ঠোঁটে দেওয়ার সময় অল্প বিস্তার নিয়ে এটি
হালকা মাসাজ করতে হয়। এখন আপনি যদি অতীত পরিমাণ নিয়ে এটি ব্যবহার করতে থাকেন
তাহলে এর প্রতিক্রিয়া হয়ে যেতে পারে।
তাই আমাদের সব সময় একটি জিনিসের সঠিক ব্যবহার সম্পর্কে জানতে হবে এবং এটি
সুন্দরভাবে নিয়ম-কানুন মেনে ব্যবহার করতে হবে। আমরা আমাদের এই আর্টিকেলে এই
ক্রিমটির ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করেছি তাই আশা করি আপনারা এই ক্রিমটির সঠিক
ব্যবহার সম্পর্কে এতক্ষণে জানতে পেরেছেন। তাই এই ক্রিমটি খুবই স্বল্প পরিমাণে
প্রতিদিন নিয়মিত করে ব্যবহার করবেন তাহলেই আপনারা আপনাদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর
করতে পারবেন।
কালো দাগ দূরীকরণে বেটনোভেট ক্রিমটির উপকারিতা ও অপকারিতা
কালো দাগ দূরীকরণে বেটনোভেট ক্রিম টির উপকারিতা অনেক। এই ক্রিমটির অপকারিতাও
ঠিকমতির মতোই এই ক্রিমটিতে কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া নেই কিন্তু এই ক্রিমটি যদি
আপনি অধিক পরিমাণে ব্যবহার করে ফেলেন তাহলে আপনার ঠোঁটের কালো দাগ দূরত্ব হবে না
আরো সমস্যার সম্মুখীন হতে হবে। তাই এই ক্রিমটি ব্যবহার করার জন্য এই ক্রিমটির
নিয়ম-কানুন জেনে ব্যবহার করতে হবে তাতে খুব তাড়াতাড়ি আপনার ঠোঁটের কালো দাগ
দূর হয়ে যাবে। এই ক্রিমটি যদি সঠিকভাবে প্রতিদিন নিয়মিত অল্প বিস্তার নিয়ে
মাসাজ করা যায় তাহলে আস্তে আস্তে আপনার ঠোঁটের কালো দাগ দূর হয়ে আপনার ঠোঁটে
সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনবে।
ঠোঁট কালো হওয়ার কারণসমূহ
আমরা হয়তো সবাই জানি যে যে কোন একটা সমস্যার কোন একটি নির্দিষ্ট কারণ থাকে। ঠিক
তেমনি আমাদের ঠোঁট কালো হওয়ার পিছনে কোন না কোন একটি কারণ আছে। তাই আজকে আমরা
আমাদের এই ঠোঁট কালো হওয়ার কয়েকটি কারণ সম্পর্কে আলোচনা করব।
১. অতিরিক্ত নিকোটিনের কারণে ঠোঁট কালো হয়ে যায়।
২. বেঞ্জপাইরিন ত্বকের মেলানিন উৎপাদন বাড়িয়ে তোলে এর কারণে ঠোঁট কালো হয়ে
যায়।
৩. ঠোঁটের পুষ্টিহীনতার কারণে বা পুস্তির হার কমার কারণে ঠোঁট কালো হয়ে যায়।
৪. ফটোটি পরিমানে শুষ্কতা পেলে ঠোঁট কালো হয়ে যায়।
৫. অতিরিক্ত চা কফি খাওয়ার কারণে ঠোট কালো হয়ে যায়।
অতএব আমরা সবাই আমাদের এই ঠোঁট কালো হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য ক্লোভেট এন বা
বেটনোভেট টিএমটি ব্যবহার করতে পারি। এবং আমাদের ঠোঁট কালো থেকে বাঁচার জন্য এই
কারণগুলো এড়িয়ে চলতে পারি। এই কারণগুলো এড়িয়ে চলার মাধ্যমে আমাদের ঠোঁটকে
কালো হতে বাঁচাতে পারবো। বিশেষ করে মেয়েদের জন্য ঘুমানোর আগে লিপস্টিক না তোলা ও
বেশি স্টেজ নেওয়ার কারণে বা অধিক পরিমাণে পানি না পান করার কারণে ঠোঁট কালো হয়ে
থাকে।
ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ঘরোয়া টিপস
ঠোটের কালো দাগ দূর করার জন্য কয়েকটি ঘরোয়া টিপস নিয়ে আমরা এখন আলোচনা করব।
আমরা সাধারণত পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করি না যার কারণে আমাদের ঠোঁটের আদ্রতা
বেড়ে যায় এই কারণে আস্তে আস্তে ঠোঁট ফেটে যায় এবং আস্তে আস্তে ঠোঁট কালো হয়ে
যায়। তাই আশা করি আমরা পর্যাপ্ত পরিমাণ পানি পান করব তাতে আমাদের ঠোঁট ফাটা থেকে
এবং ঠোঁটের আদ্রতা কমবে এবং শুষ্কতা ও কমে যাবে এতে আমাদের ঠোঁট কালো হবে না এবং
ঠোঁট কালো হওয়া থেকে আমরা রক্ষা পাব।
আমরা সাধারণত সব সময় লিপ বাম ক্রিমগুলো ব্যবহার করে থাকবো এতে আমাদের ঠোঁট অতি
সহজে ফাটবে না। আমাদের ঠোঁটের যে পানির পরিমাণ বা আদ্রতার পরিমাণ এই
লিপবাম দেওয়ার কারণে আমাদের ঠোঁট ফাটবে না। এবং আমরা ঘুমানোর আগে বিশেষ করে
মেয়েরা ঘুমানোর আগে ঠোঁটে যে ধরনের লিপস্টিক বা অন্যান্য কসমেটিক পণ্য ব্যবহার
করে থাকে সেগুলো তুলে ফ্রেশ হয়ে তারপরে ঘুমানো উচিত।
আরো পড়ুনঃ কোন ফলটি খেলে আপনার শরীরে পুষ্টি বাড়বে
এই লিপস্টিক গুলো না তুললে লিপস্টিকে যে পরিমাণ কেমিক্যাল থাকে সেগুলো আমাদের
ঠোঁটকে সারা রাতে অনেক পরিমান ক্ষতি করে এবং ঠোঁটের শুষ্কতা বাড়িয়ে তোলে এতে
আমাদের ঠোঁটা আস্তে আস্তে কালো হয়ে যায়। আবার আমরা যখন রাতে ঘুমাতে চাই
তার আগে ব্রাশ করি ব্রাশ করার সময় কিছুটা পেস্ট আমাদের ঠোঁটে লাগিয়ে নিতে হবে
এবং ব্রাশ শেষে হাতের সেই ব্রাশটি দিয়ে আলতো করে ঠোটে মাসাজ করতে হবে এবং খেয়াল
করতে হবে যেন ব্রাশটি অনেক সফট হয়।
যদি আমরা এরপরেও আঙ্গুল দিয়ে মাছ চাষ করি একটু লেবুর রস দিয়ে তাহলে আমাদের
ঠোঁটের যে অতিরিক্ত কোষগুলো রয়েছে সেগুলি উঠে যাবে এবং আমাদের আমাদের ঠোঁটের যে
জীবাণুগুলো রয়েছে সেগুলো উঠে যাবে। বিশেষ করে ঘুমানোর আগে পাঁচ মিনিট ঠোঁট
মেসেজ করা খুবই প্রয়োজনীয় বিষয়। ঠোটে মাসাজ করার সময় আপনি পুদিনা পাতা বা
বরফের হালকা টুকরা দিয়ে ঠোঁট মাসাজ করতে পারেন।
আবার ঠোঁটে দুধের সর লাগিয়ে এবং দুধের সরের সাথে ডালিম এর বিচি দিয়ে মাসাজ করতে
পারেন। এতে ঠোঁটে নমনীয়তা বাড়বে এবং ঠোঁটকে সমস্ত কালো দাগ থেকে দূরে রাখবে।
আরো আপনি যদি ঠোঁটে চীনের সাথে একটু লেবুর রস মিশিয়ে ঠোঁটে মাসাজ করেন এতে আপনার
ঠোঁটের যে স্বাভাবিক কালারটা সেটা ফিরে আসবে। শসার রস আমাদের ঠোঁটকে গোলাপী করতে
অনেক সাহায্য করে এর জন্য ঘুমানোর আগে আপনি যদি পারেন তাহলে পাঁচ মিনিট শসার রস
দিয়ে ঠোঁটকে ভিজিয়ে নিবেন এবং মাসাজ করবেন।
আপনারা হয়তো এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন যে আমাদের এ আর্টিকেলে ঘরোয়া টিপসে কোন কোন
বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে এই জিনিসগুলো যদি আপনি প্রতিদিন ব্যবহার করেন
বা এর মধ্যে থেকে কিছু জিনিস যদি আপনি প্রতিদিন বাড়িতে ব্যবহার করতে থাকেন তাহলে
আপনার ঠোঁটের উজ্জ্বলতা আস্তে আস্তে ফিরে আসবে। এবং ঠোঁটকে গোলাপী করতে সাহায্য
করবে। তাই আপনারা প্রতিদিন আপনাদের বাসায় যে সমস্ত জিনিসগুলো রয়েছে।
যেগুলো ঠোঁটকে সচ্ছল রাখতে ও নমনীয় রাখতে সাহায্য করে সেই জিনিসপত্রগুলো ব্যবহার
করতে থাকুন। এতে আপনাদের ঠোঁটে প্রাকৃতিক একটি উজ্জ্বলতা ফিরে আসবে। এবং আপনারা
হয়তো জানেন প্রত্যেকটি মানুষেরই তার সৌন্দর্যর খেয়াল রাখা প্রয়োজন।
সেক্ষেত্রে আমাদের ঠোঁটের যত্ন করার জন্য আমরা আমাদের ঘরোয়া টিপস গুলো ফলো করতে
পারি এবং এতে আমাদের ঠোঁটের সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে পারি।
লেখকের মন্তব্যঃ মেয়েদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ক্রিম
মেয়েদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার ক্রিম সম্পর্কে আমরা এতক্ষণ আলোচনা করেছি। এবং
এই ক্রিমগুলোর মধ্যে আপনি হয়তো বুঝতে পেরেছেন কোন ক্রিমগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ
এবং আমাদের ঠোঁটের জন্য কার্যকরী। আমাদের ঠোঁটের জন্য যে দুইটি ক্রিম নিয়ে আমরা
আলোচনা করেছি সেগুলো হল ক্লোভেট এন ও বেটনোভেট এই ক্রিমগুলো আপনি যদি রেগুলার ইউজ
করতে থাকেন এবং এর সঠিক নিয়ম কারণ গুলো মেনে নিয়মিত মাসাজ করেন।
এর সঠিক ব্যবহার করেন তাহলে আপনার ঠোঁটের কালো দাগ খুব সহজেই দূর হয়ে যাবে।
আমাদের এই পোস্টে আমরা আমাদের ঠোট কালো হওয়ার কারণসমূহ তুলে ধরেছে সে বিষয়গুলো
আপনারা মেনে চলবেন এবং আপনাদের ঠোঁটকে সবসময় সে বিষয়গুলো থেকে
এড়িয়ে রাখবেন। বিশেষ করে অতিরিক্ত ধূমপান এবং পানি শূন্যতার কারণে আমাদের
ঠোঁট কালো হয়ে যায় তাই আমরা অতিরিক্ত ধূমপান করব না এবং আমরা সঠিক পরিমাণ
হওয়ার চেষ্টা করব।
আশা করি আপনারা আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং মনোযোগ সহকারে
পড়ার কারণে আপনারা আপনাদের ঠোঁট কালো হওয়ার কারণগুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন
এবং এর থেকে বের হওয়ার বা রক্ষা পাওয়ার ক্রিম সম্পর্কে বিস্তারিত
বুঝতে পেরেছেন। এর বাইরেও যদি আপনাদের ঠোঁটের কালো দাগ দূর করার সম্পর্কে
আরো কিছু জানার থাকে তাহলে আমাদের কমেন্টে জানাবেন বা এডমিনের সাথে যোগাযোগ
করবেন।
পজিশন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url