পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ও অনুসন্ধান
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ও অনুসন্ধান সম্পর্কে হয়তো অনেকে জানেনা কিন্তু মিটার
আবেদন করার পরে সেটা পরবর্তীতে কি অবস্থা আছে তা দেখাটা খুবই জরুরী বিষয়। আর তাই
আমাদের এই আর্টিকেলটি লেখা আপনাদের সুবিধার্থে।
সাধারণত অনেকেই পল্লী বিদ্যুতে মিটারে আবেদন করে থাকেন কিন্তু আবেদন করার পরেও
মিটার আসতে দেরি হয় সেই ক্ষেত্রে আপনি যদি কিভাবে অনুসন্ধান করতে হয় মিটারের তা
জানেন তাহলে আপনার সমস্যা বলে বুঝতে পারবেন। অতএব মিটারের আবেদন অনুসন্ধান এ
বিষয়ে জানতে আমাদের এই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন।
পোস্ট সূচিপত্রঃপল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ও অনুসন্ধান
- পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ও অনুসন্ধান
- পল্লী বিদ্যুতের মিটারের আবেদন ও অনুসন্ধান করার নিয়ম
- পল্লী বিদ্যুতের মিটার আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা
- পল্লী বিদ্যুতের মিটার আবেদন ফি
- পল্লী বিদ্যুতের মিটার আবেদনের এসএমএস অনুসন্ধান
- পল্লী বিদ্যুৎ মিটার পেতে দেরি হওয়ার কারণ
- পল্লী বিদ্যুতের মিটার পেতে দেরি হলে করণীয়
- পল্লী বিদ্যুতের মিটার পরিবর্তনের জন্য আবেদন
- পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ও অনুসন্ধান সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
- লেখকের মন্তব্যঃ পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন অনুসন্ধান
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ও অনুসন্ধান
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ও অনুসন্ধান করতে না জানলে আপনি অনেক সময় অনেক
সমস্যার সম্মুখীন হতে পারেন। তাই কিভাবে পল্লী বিদ্যুতের মিটার আবেদন অনুসরণ করতে
হয় এটা জানা আপনার জন্য খুবই জরুরী এবং গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বর্তমানে আমাদের
দেশে বিদ্যুৎ ছাড়া মানুষ বা বাড়ি খুবই কম আছে কারণ বর্তমানে প্রত্যেকটি বাসা
বাড়িতে বিদ্যুৎ এর প্রয়োজন অনেক বেড়ে গেছে তাই আমাদের দেশে বিদ্যুৎ প্রবাহ দিন
দিন বাড়ছে।
এখন দেখা যাচ্ছে যে আপনি নতুন বাড়ি করেছেন এবং একটি মিটারের জন্য আবেদন করেছেন
কিন্তু মিটারটি পেতে অনেক দেরি হচ্ছে। সেই ক্ষেত্রে আপনাকে অনুসন্ধান করতে হবে
আপনার মিটারটি দিতে কেন দেরি হচ্ছে ও আবেদন করার পরেও কেন মিটার
আসছে না। আপনার যদি মিটার আবেদনের সময় সমস্ত কাগজপত্র সঠিকভাবে দেওয়া
থাকে তাহলে আপনার মিটারটি আপনি সঠিক সময়ে পেয়ে যাবেন এবং এর জন্য বিদ্যুৎ
অফিসের মানুষজন বা কর্মরত অফিসার আগে আপনার সমস্ত কাগজপত্র চেক করে দেখবেন।
আরো পড়ুনঃ
অনলাইনের মাধ্যমে কাবিননামা চেক করুন
যদি আপনার সমস্ত কাগজপত্র ঠিক থাকে তাহলে তারা যত সময় আপনার বিদ্যুৎ লাইনটি করে
দিয়ে যাবেন। কিন্তু কোন কোন সময় আপনার বিদ্যুৎ মিটারটি দিতে অনেক দেরি করে ফেলে
সেক্ষেত্রে আপনি অনুসন্ধান করতে পারেন যে আপনার আবেদনটি এখন কোন পর্যায়ে আছে তার
জন্য আপনাকে অনুসন্ধান করতে জানতে হবে। সেই জন্য আমাদের এই আর্টিকেলটি লেখা
আমাদের এই আর্টিকেল এর মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই পল্লী বিদ্যুতের মিটারের আবেদনটি
করতে পারবেন।
এবং অনুসন্ধানও করতে পারবেন তাই মনোযোগ সহকারে আমাদের আর্টিকেল করুন নিচে আমরা
আমাদের আর্টিকেলের মাধ্যমে আপনাকে মিটার আবেদন ও অনুসন্ধান নিয়ে আলোচনা করব।
পল্লী বিদ্যুতের মিটারের আবেদন ও অনুসন্ধান করার নিয়ম
বর্তমানে পল্লী বিদ্যুতের মিটারের আবেদন অনেক বেড়েছে এবং মিটারের জন্য আবেদন
করার মানুষ অনেক বাড়ছে তাই অফলাইনে আবেদন করতে গেলে দেখা যায় যে অনেক সমস্যা ও
অনেক সময় ব্যয় হয়ে যায় সে ক্ষেত্রে আমরা অনলাইনের মাধ্যমে পল্লী বিদ্যুতের
মিটারের আবেদন করতে পারি। অনলাইনে আবেদন করার মাধ্যমে আপনি আপনার সময় ব্যয় করার
হাত থেকে বাসাতে পারবেন এবং খুব তাড়াতাড়ি অনলাইন এর মাধ্যমে আপনার মিটারের জন্য
আবেদন করে মিটাতে সহজে পেতে পারেন।
তবে অনলাইনে আবেদন করার ক্ষেত্রে কিছু শর্তাবলী রয়েছে সেই শর্তগুলো সঠিকভাবে
পালন করতে হবে। আপনি যখন অনলাইনে আবেদন করবেন তখন আপনাকে একটি আইডি নাম্বার
বা ট্রাকিং নাম্বার এবং একটি পিন নাম্বার দেওয়া হবে। এই আইডি নাম্বার ও পিন
নাম্বার আপনাকে মনে রাখতে হবে কারণ আপনি যখন পরবর্তীতে আপনার মিটার দিয়ে কি
অবস্থায় আছে জানার জন্য যাবেন বা জানতে ইচ্ছুক হবেন তখন আপনার এই আইডি নাম্বার
বা ট্রাকিং নাম্বার এবং পিন নাম্বারে দিতে হবে তাহলে আপনি আপনার মিটার কোন
অবস্থায় আছে তা বুঝতে পারবেন।
নিচে কিভাবে আপনি আবেদন করতে পারবেন তার একটি স্ক্রিনশট দেওয়া হল এখানে ক্লিক
করে আপনি আপনার ডকুমেন্টগুলো প্রদান করুন এবং আবেদন কমপ্লিট করে মিটারের জন্য
অপেক্ষা করুন তাহলেই কিছু সময় পর আপনার মিটার এর আবেদন গ্রহণ করা হবে এবং আপনার
মিটাতে যত সময় পৌঁছে দেওয়া হবে।
আপনি যদি আপনার মিটারের অবস্থান বা মিটার অনুসন্ধান করতে চান তাহলে আপনাকে পল্লী
বিদ্যুতের অফিশিয়াল ওয়েবসাইট www.rebpbs.com ক্লিক করার পরে আপনাকে তাদের পেজে
নিয়ে যাবে। তারপর কম্পিউটারের মেনুবার অপশন থেকে আবেদন অপশনে মানুষটির রাখলেই
সাতটি অপশন চলে আসবে। আরে এই ৭ অপশনের মধ্যে থেকে ষষ্ঠ নাম্বার অপশনে লেখা থাকবে
আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা জানুন এখানে ক্লিক করতে হবে।
এবং এখানে ক্লিক করার পরে আপনাকে আবেদন অনুসন্ধানের অপশন পেতে নিয়ে যাবে অর্থাৎ
আবেদন অনুসন্ধানের পেইজে নিয়ে চলে যাবে। আপনার সামনে এবার আবেদন অনুসন্ধান করুন
এই পেজটি চলে আসবে এরপরে আবেদন করার সময় যেই ট্রাকিং নাম্বারটি দেওয়া হয়েছিল
সেই নাম্বারটি দিন এবং নিচের ঘরে পিন নাম্বার চাইবে সেখানে আপনি আপনার পিন
নাম্বারটি দিন। এরপর নিচে দেখতে পাবেন একটি সাবমিট অপশন রয়েছে সেখানে আপনি ক্লিক
করে সাবমিট করে দিন।
পরবর্তীতে আপনার সামনে আবেদনের অগ্রগতির দশটি পর্যায় চলে আসবে। এবং এই
অপশনগুলোতে যে অপশন গুলো সবুজ রঙের হয়ে থাকবে সে অপশনগুলো আপনার আবেদনের পর্যায়
পার করেছে এবং যে অপশন গুলো ফাঁকা রয়েছে সে অপশন গুলো এখনো আপনার আবেদনের
অনুসন্ধান সম্পূর্ণ হয়নি আর যদি সবগুলো অপশন সবুজ হয়ে যায় তাহলে আপনি বুঝতে
পারবেন আপনার আবেদনের সবগুলো অপশন অর্থাৎ পর্যায়ে সম্পূর্ণ হয়েছে এবং আপনার
মিটারটি খুব তাড়াতাড়ি আপনি পেয়ে যাবেন।
আরো পড়ুনঃ
মাসে বিশ হাজার টাকা ইনকাম করার উপায়
এভাবে আপনি আপনার মিটার আবেদন অনুসন্ধান টি কমপ্লিট করতে পারবেন এবং আপনি আপনার
মিটার টি কোন পর্যায়ে আছে বুঝতে পারবেন খুব সহজেই। ঘরে বসে থেকে আপনার
মোবাইলটি দিয়ে আপনি আপনার এ আবেদনটি কমপ্লিট করতে পারবেন এবং আপনার মিটারের
পর্যায়ে আপনি নিজেই দেখতে পারবেন।
পল্লী বিদ্যুতের মিটার আবেদন সর্বশেষ অবস্থা
পল্লী বিদ্যুতের মিটার আবেদন সর্বশেষ অবস্থান বলতে বোঝায় আপনার বাসার মিটারের
আবেদন করার পর বা নতুন মিটার এর আবেদন করার পর আবেদনটি কোন পর্যায়ে রয়েছে তা
অনুসন্ধান করাকেই পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন সর্বশেষ অবস্থা বোঝায়। এই সর্বশেষ
অবস্থায় যদি আপনার সবগুলো পর্যায়ে পরিপূর্ণ থাকে অর্থাৎ কমপ্লিট থাকে তাহলেই
আপনি আপনার মিটারের আবেদন করে মিটাতে পেতে পারেন।
আর যদি আপনার সবগুলো পর্যায় সম্পূর্ণ না থাকে তাহলে আপনি মিটার আবেদন করেও সেটা
থেকে মিটার পাবেন না। কারণ আপনার যদি আবেদনে ভুল থাকে তাহলে আপনি কিভাবে একটি
নতুন মিটার পেতে পারেন। তাই সর্বদা চেষ্টা করবেন মিটারের আবেদন করার সময়
একটু সতর্ক থেকে সবগুলো আবেদন ও পর্যায়ে কমপ্লিট করে আবেদন করতে।
পল্লী বিদ্যুতের মিটার আবেদন ফি
আপনি কি নতুন মিটারের জন্য আবেদন করতে চাচ্ছেন কিন্তু ভয় পাচ্ছেন যে কত টাকা ফি
লাগবে তা সম্পর্কে। তাহলে আর ভয় নেই কারণ অনলাইনের মাধ্যমে আপনি যদি মিটারের
আবেদন করার প্রস্তুতি নেন তাহলে আমাদের এই আজকের কন্টেন্টের মাধ্যমে জানতে পারবেন
কত টাকা ফি লাগে পল্লী বিদ্যুতের মিটারের আবেদন করতে। আপনি যখন অনলাইনের মাধ্যমে
আবেদন করবেন পল্লী বিদ্যুতের মিটারের জন্য তখন আপনার মোট খরচ পড়বে ১১৫
টাকা।
তবে আবেদন খেয়ে আপনি চাইলে বিদ্যুৎ অফিসে গিয়েও জমা দিতে পারেন। তবে আপনি যখন
অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করবেন তখন এটা ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে অথবা রকেট এর মাধ্যমে
১১৫ টাকা ফি জমা দিতে হবে তাহলে আপনার আবেদনটি গ্রহণযোগ্য হবে।
পল্লী বিদ্যুতের মিটার আবেদনের এসএমএস অনুসন্ধান
পল্লী বিদ্যুতের মিঠুনের আবেদনের এসএমএস অনুসন্ধানের কোন নিয়ম এখনো চালু
হয়নি। তবে আপনি আবেদন করার পরে আবেদনের সর্বশেষ অবস্থাতে গিয়ে আবেদনের
পর্যায়ে পর্যবেক্ষণ করতে পারবেন। তবে পল্লব বিদ্যুতের মিটারের আবেদন করার সময়
আপনার মূলত যেসব কাগজপত্র লেগে থাকে তা হলো আপনার আইডি কার্ডের ফটোকপি এবং
আরও সমস্ত আনুষঙ্গিক ডকুমেন্ট এই সমস্ত ডকুমেন্ট জমা দেওয়ার পরে আপনার আবেদনটি
গ্রহণ করা হবে।
তবে আপনি চাইলে বিদ্যুৎ অফিসে গিয়েও আবেদন করতে পারেন এবং আপনার কাগজপত্র জমা
দিতে তাদের সাথে কথা বলতে পারেন। তবে সে ক্ষেত্রে যদি আপনার মিটার দিতে দেরি
হয় তখন আপনাকে অনলাইনে আবেদনের সর্বশেষ অবস্থাতে গিয়ে চেক করতে হবে সেই
ক্ষেত্রে আপনার অনলাইনে আবেদন করাটাই শ্রেয়। কারণ অনলাইন আবেদন করার সময় যে
ট্রাকিং নাম্বারটি দেওয়া হবে আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা দেখার জন্য আপনাকে সেই
ট্রাকিং নাম্বার ও পিন নাম্বার দিতে হবে সে ক্ষেত্রে আপনি যদি অনলাইনে আবেদন
করেন তাহলে আপনার ট্রাকিং নাম্বার ও পিন নাম্বার আপনি জানবেন।
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার পেতে দেরি হওয়ার কারণ
সাধারণত পল্লী বিদ্যুতের মিটার দেওয়ার সময় দেরি হওয়ার কারণ হলো মিটারের
সমস্ত পর্যায় গুলো কমপ্লিট করা এবং সমস্ত কাজকর্ম ও ডিজাইনগুলো কমপ্লিট করে
কাজগুলো করতে একটু সময় লাগতে পারে তাই দেরি হতে পারে। আবার অনেক সময় দেখা
যায় মিটারের অনেক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও পর্যাপ্ত পরিমাণে মেয়েটা না থাকার
কারণে মিটারের আবেদন করার পরেও মিটার আসতে দেরি হয়। এরপর আবার অনেক সময় দেখা
যায় নতুন এলাকাতে বিদ্যুৎ মিটার দিতে গেলে একটু সময় লাগে।
কারণ সে এলাকাগুলোতে বিদ্যুতের তার খাম্বা এগুলো করতে অনেক সময় লাগে
সেক্ষেত্রে লাইন দিলেও অনেক সময় লাগে। এরপর আবার দেখা যায় যে আপনার যদি কোন
ডকুমেন্ট ভুল থাকে তাহলে সেগুলো সংশোধন করতেও অনেক সময় লেগে থাকে এবং সে
ক্ষেত্রে মিটার পেতে অনেক সময় লাগতে পারে। অনেক সময় দেখা যায় যে অনেক
আবেদন হওয়ার কারণে সমস্ত কার্যকলাপ গুলো পরিপূর্ণ করছে একটা সময় লাগে।
এবং এতগুলো আবেদন হওয়ার কারণে মিটার যেতে অনেক দেরি হতে পারে। অনেক সময় দেখা
যায় যে টেকনিক্যাল প্রবলেম এর কারনেও লাইন দিতে অর্থাৎ মিটার দিতে হতে পারে।
আমাদের দেশে অনেক সময় দেখা যায় যে ঘুষ বা কোন উপকার টাকা না দিলে মিটার দিতে
অনেক দেরি করে এ সমস্ত সমস্যা অনেক ক্ষেত্রে দেখা দেয় তবে আমরা এগুলো থেকে
দূরে থাকার চেষ্টা করব। এছাড়া অন্যান্য ক্ষেত্রেও মিটার দিলে দেরি হতে
পারে।
যেমন প্রাকৃতিক সমস্যা দুর্যোগ প্রবল বা অধিদপ্তর দুর্যোগের কারণে তার ছেড়ে
যাওয়া এগুলো কারণে মিটার দিতে একটু সময় লাগতে পারে তাই আশা করে সবাই বুঝতে
পেরেছেন কোন কোন কারনে দেরি হয় তাই একটু সময় অপেক্ষা করুন এবং আবেদনের
সর্বশেষ পর্যায়ে গিয়ে অনুসন্ধান করুন।
পল্লী বিদ্যুতের মিটার পেতে দেরি হলে করণীয়
পল্লী বিদ্যুতের মিটার পেতে যদি আপনার বেড়ে দেরি হয় তাহলে সেই ক্ষেত্রে
আপনি আপনার এলাকার পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে যোগাযোগ করুন এবং তারা যদি কোন প্রকার
উত্তর না দিতে পারেন তাহলে আপনি তাদের কাছে জানতে চান আবেদনের সর্বশেষ অবস্থা
সম্পর্কে যদি তাও তারা উত্তর না দিতে পারে তাহলে আপনি অনলাইনে চেক করুন মিটার
আবেদনের সর্বশেষ পর্যায় সম্পর্কে। যদি এতে তাও না হয় তাহলে আপনি উপরের
কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের সম্পর্কে বিচার দিতে পারেন। । নিচে আমরা পল্লী
বিদ্যুতের মেয়েটার পেতে দেরি হলে করনীয় কিতা সম্পর্কে বিস্তারিত
আলোচনা করব।
১. আপনারা যদি বিদ্যুতের মিটার আবেদন করার পরেও মিটার আসতে দেরি হয় তাহলে আপনি
আপনার এলাকার বিদ্যুৎ অফিসে যেতে পারেন সেখানে গিয়ে তাদের কাছে আপনার মিটারের
সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে জানতে চাইবেন এবং তাদের কাছে দ্রুত মিটার দেওয়ার জন্য
আবেদন করবেন
২. যদি আপনি বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে কোনরকম সাহায্য না পান তাহলে আপনি গ্রাহক
কেন্দ্রে অভিযোগ জানান এবং অনলাইনের মাধ্যমে অভিযোগ জানাতে পারেন।
৩. আপনি চাইলে পল্লী বিদ্যুতের গ্রাহক সেবা কেন্দ্রে যোগাযোগ করতে পারেন এবং
তাদের কাছে আপনার সমস্যা খুলে বলতে পারেন তারা আপনার সমস্যার সমাধান অবশ্যই
দিবে ও আপনার দ্রুত মিটার পেতে কি করা লাগে সে সমাধানটি দিবে।
৪. আপনি চাইলে পল্লী বিদ্যুতের যে অফিসিয়াল ওয়েবসাইট রয়েছে সেখানে গিয়ে
অভিযোগ জানাতে পারেন অথবা সেখানে তথ্য দেওয়া থাকে সেই তথ্যগুলো সংগ্রহ করতে
পারেন।
৫. যদি উপরে কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করার পরেও আপনার সমস্যার সমাধান না পান
তাহলে আপনি আইনের ব্যবস্থা নিতে পারেন আইনের সহযোগিতা নেওয়ার মাধ্যমে আপনি
আপনার প্রাপ্ত মিটারটে পেতে পারেন।
৬. যদি আপনার সমস্যার সমাধান তাও না পান তাহলে আপনি গণমাধ্যমের সহজে নিতে পারেন
আপনার সমস্যাটি আপনি পেপার পত্রিকায় খুলে বলতে পারেন এতে আপনার কাছ থেকে পেতে
বা আপনার মেয়ে দ্রুত পেতে সহযোগিতা হতে পারে।
৭. অথবা আপনি চাইলে এর আগে যেসব গ্রাহকের এমন সমস্যা হয়েছিল তাদের সাথে
যোগাযোগ করে তাদের সম্পর্কে তথ্য নিতে পারেন তারা কিভাবে তাড়াতাড়ি মিটার নিতে
সক্ষম হয়েছিল তাদের থেকে আপনি তথ্যটি গ্রহণ করে আপনার সেই পথ অবলম্বন করতে
পারেন।
পল্লী বিদ্যুতের মিটার পরিবর্তনের জন্য আবেদন
পল্লী বিদ্যুৎ এর মিটার পরিবর্তন কিভাবে করা যায় সেটা অনেকে হয়তো জানে না
তবে এটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কারণ আপনার মিটার যদি কোনো কারণে নষ্ট হয়ে
যায় অথবা আপনার মিটারে অনেক পরিমাণ বেশি বিল ওঠার কারণে আপনি মিটারটি
পরিবর্তন করতে চাচ্ছেন। কিন্তু সঠিক পথ না জানার কারণে আপনি আবেদন করতে
পারছেন না তাহলে আপনার জন্য আমাদের এই আর্টিকেল লেখা। আপনি আপনার মিটারটি যদি
পরিবর্তন করতে চান তাহলে আপনাকে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে একটি আবেদন করতে
হবে।
আরো পড়ুনঃ
ফেসবুক থেকে ইনকাম করার উপায়
এবং সে আবেদনটি করার পরে আপনার আগের মিটারের সম্পর্কে সমস্ত তথ্য ও ডকুমেন্ট
তাদেরকে দিতে হবে এবং আপনার মিটার পরিবর্তনের কারণ সহ যাদেরকে ও আবেদনে লিখতে
হবে এরপর আবেদনটি আপনি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে জমা দিন। তাহলে আপনার মিটার
পরিবর্তনের আবেদনকে সম্পূর্ণ হবে এবং কিছুদিন পর গিয়ে আপনি আবার পুনরায় সেই
মিটার সম্পর্কে অনুসন্ধান করতে পারেন যদি আপনার মিটার দিতে দেরি হয়।
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ও অনুসন্ধান সম্পর্কিত কিছু প্রশ্ন ও উত্তর
নতুন মিটারের জন্য আবেদন করতে কি কি লাগে
নতুন মিটারের আবেদনের জন্য আপনার যে কাগজগুলো লাগবে তা হল আপনার পাসপোর্ট সাইজের
দুই কপি ছবি ও জমির মালিকানা দলিলের সত্যায়িত কপি এবং আপনার এলাকার স্থানীয়
কর্তৃপক্ষ দের থেকে নেওয়া আপনার বাড়ির নকশার এক কপি সত্যায়িত।
নতুন মিটার নিতে কত খরচ হতে পারে
সাধারণত আপনি যদি আপনার বাড়ীর জন্য নতুন একটি মিটার নিতে চান তাহলে আপনার সমস্ত
কাগজপত্র সুন্দরভাবে নিয়ে যেতে হবে এবং আপনার এই নতুন মিটার ফি বাবদ ১১৪৮ টাকা
জমা দিতে হবে তবে এই মিটার টি হবে ২ কিলোওয়াট আবাসিক মিটার যার সাধারণত বসত
বাড়িতে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।
বিদ্যুতের মিটার কোনটি ভালো
সাধারণত মিটার দুই ধরনের হয়ে থাকে তা হল এনালগ মিটার ও ডিজিটাল মিটার তবে এনালগ
মিটার থেকে ডিজিটাল মিটার গুলো একটু বেশি ভালো হয়ে থাকে এবং এদের কার্যকারিতা
অনেক বেশি ভালো তাই আপনি ডিজিটাল মিটারটি ব্যবহার করতে পারেন। এতে করে আপনার
সমস্ত কিছু বুঝতে অনেক সহযোগিতা হবে কারণ ডিজিটাল মিটারে ডিজিটাল স্ক্রিন লাগানো
থাকে এতে আপনি বুঝতে পারবেন আপনার কত ওয়াট উঠছে।
লেখকের মন্তব্যঃ পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ও অনুসন্ধান
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ও অনুসন্ধান সম্পর্কে আমাদের এই আর্টিকেলে বিস্তারিত
আলোচনা করেছি আমরা। অতএব আপনারা হয়তো এতক্ষণে বুঝতে পেরেছেন পল্লী
বিদ্যুতের মিটার আবেদন ও অনুসন্ধান কিভাবে করা যায় এবং মিটার পরিবর্তন করতে হলেও
কি করতে হবে এই সম্পর্কে। তবে মিটারের আবেদন করার সময় সমস্ত ডকুমেন্টগুলো
সুন্দরভাবে দেখে শুনে তারপরে সাবমিট করবেন কারণ আপনার যদি কোন রকমের ভুল হয়
তাহলে আপনি মিটার আসতে অনেক দেরি হতে পারে।
তাই পল্লী বিদ্যুতের মিটার আবেদন করার সময় সাবধানে সবকিছু পরিপূর্ণ করা
প্রয়োজন। এবং অনুসন্ধানের সময় আবেদন সর্বশেষ অবস্থায় গিয়ে আপনার সবগুলো
পর্যায়ে পূর্ণ হয়েছে কিনা সেটা দেখা খুব জরুরী কারণ যদি কোন সমস্যা হয়ে থাকে
তাহলে সেখানে আপনি বুঝতে পারবেন কোথায় গিয়ে আপনার মিটার আবেদন আটকে গিয়েছে।
তাহলে আপনি সেই সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করে পল্লী বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে আবার নতুন
করে সেই সমস্যা সেই সমাধান করতে পারেন।
পল্লী বিদ্যুৎ মিটার আবেদন ও অনুসন্ধান সম্পর্কে আপনার যদি কোন প্রশ্ন থেকে থাকে
তাহলে অবশ্যই কমেন্টে জানাবেন এবং এডমিনের থেকে কিছু জানার থাকলে যোগাযোগ করবেন
ধন্যবাদ।
পজিশন আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url